চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে হামলায় যুবলীগ কর্মী আব্দুর রহিম (৩০) নিহতের ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার সকালে গ্রেপ্তার কাঞ্চন দাশকে (২৫) আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে গতকাল রোববার রাতে নিহতের ভাই করিম উদ্দিন বাদী হয়ে পাঁচজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পাঁচ থেকে ছয়জনকে আসামি করে সীতাকুণ্ড থানায় হত্যা মামলা করেন। গ্রেপ্তার কাঞ্চন বারৈয়ারঢালা ইউনিয়নের দক্ষিণ ফেদাইনগর এলাকার বাসিন্দা।
সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফায়েল আহমেদের বলেন, বিবাদ থামাতে গিয়ে হামলায় যুবলীগ কর্মী রহিম নিহত হন। মামলায় কাঞ্চন দাশকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার সত্যতা জানান। বাকিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
গত ২৯ নভেম্বর মঙ্গলবার রাতে দক্ষিণ ফেদাইনগর কাশেম আলী সড়ক সংলগ্ন রাসেল মেম্বারের মুরগির খামারের সামনে হামলার ঘটনা ঘটে। একই এলাকার যুবক আরিফের মোটরসাইকেলের সঙ্গে ইমনের অটোরিকশার ধাক্কা নিয়ে এ ঘটনার সূত্রপাত হয়। মোটরসাইকেল আরোহী আরিফ ও কাঞ্চনসহ ৫ থেকে ৬ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি অটোচালক ইমনকে মারধর করেন।
এ ঘটনার একপর্যায়ে অটোচালক ইমনকে বাঁচাতে রহিম ছুটে আসেন এবং প্রতিবাদ করেন। এতে আরিফ ও কাঞ্চনসহ তাঁদের সঙ্গীরা রহিমকে লাঠি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে পালিয়ে যান। এ সময় রহিমের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। হাসপাতালে তিন দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর গত শুক্রবার বিকেলে তাঁর মৃত্যু হয়।
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে