পুলিশের ওপর ইট পাটকেল নিক্ষেপ ও পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার মামলায় যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুসহ সাতজনকে চার দিন করে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ রোববার সন্ধ্যায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিন এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ডে নেওয়া অন্যরা হলেন—যুবদলের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি নুরুল ইসলাম নয়ন, যুবদল কর্মী মোখলেস মিয়া, ঢাকা দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোশারফ হোসেন খোকন, লালবাগ থানা বিএনপির আহ্বায়ক ফরিদ উদ্দিন রানা, একই থানার যুগ্ম আহ্বায়ক জজ মিয়া ও সদস্য মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বাঁধন।
বিকেলে এই সাতজনকে আদালতে হাজির করে পল্টন থানা-পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই বিজন কুমার বিশ্বাস প্রত্যেকের সাত দিন করে রিমান্ডের আবেদন করেন। অন্যদিকে প্রত্যেকের রিমান্ড বাতিলপূর্বক জামিনের আবেদন করেন আইনজীবীরা। এ সময় বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেকের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার এজাহারে এই আসামিদের নাম ছিল না। তাদের হয়রানির জন্য গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে আইনজীবীরা দাবি করেন। শুনানিতে আইনজীবীরা আরও বলেন, আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ বাতিল করার জন্য এই মুহূর্তে বিএনপি নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, গত ২০ মে পল্টন থানায় এই মামলাটি দায়ের করেন পল্টন থানার এসআই (নিরস্ত্র) কামরুল হাসান। তিনি এজাহারে বলেন, গত ২০ মে রাত ৮টার দিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদের নেতৃত্বে প্রায় দেড় শ বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা হঠাৎ মশাল মিছিল বের করে। কোনো প্রকার পূর্বানুমতি ছাড়া এই মশাল মিছিল সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণির সংলগ্ন কালভার্ট রোডে এসে যানবাহন বন্ধ করে দেয়। পুলিশ মশাল মিছিলে বাধা দিলে মিছিলকারীরা পুলিশের ওপরে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন। পুলিশের কাজে বাধা দিয়ে তারা অপরাধ সংগঠিত করে।
রিমান্ড আবেদনে আরও বলা হয়, ‘গ্রেপ্তাররা দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য বিভিন্ন স্থানে অনুমতি ছাড়া মিছিল করছেন, রাস্তাঘাটের যানবাহন ভাঙচুর এবং পুলিশের ওপর ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে চলেছেন। এই মামলার পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য এবং তাদের নাম ঠিকানা যাচাই করার জন্য ব্যাপকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।’
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে