নারী-পুরুষ সমান বলা হলেও বাস্তবে সেটার প্রমাণ মেলে কমই। অন্যান্য ক্ষেত্রের মতো খেলাধুলায়ও বৈষম্য বিস্তর। তবে সমতা নিয়ে আশার আলো দেখা যাচ্ছে ক্রীড়াঙ্গনে।
এক্ষেত্রে ফুটবলে যুক্তরাষ্ট্র যেটা করেছে, সেটা অনন্য। প্রথম দল হিসেবে নারী-পুরুষের বেতন সমান করে ইতিহাস তো গড়েছেই, এর সঙ্গে যুক্ত করেছে বিভিন্ন টুর্নামেন্টের প্রাইজমানির সমবণ্টন।
গত ৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ এমন চুক্তিতে স্বাক্ষর করে নজির স্থাপন করেছেন ইউএস সকার ফেডারেশনের নারী ও পুরুষ দলের ফুটবলাররা।
যুক্তরাষ্ট্রের সকার ফেডারেশনের চুক্তিতে বলা হয়েছে, টুর্নামেন্ট থেকে নারী বা পুরুষ দল যত টাকা প্রাইজমানি পাবে, সেটা দুই দলের মধ্যে ভাগ হয়ে যাবে। সেই চুক্তি অনুযায়ী এবার পুরুষ দলের সাফল্যে ভাগ বসিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের নারী ফুটবলাররা।
ইরানকে ১-০ গোলে হারিয়ে গত পরশু শেষ ষোলোয় সুযোগ পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে ছিটকে গেলে ফিফার নিয়ম অনুযায়ী, প্রায় ১৪০ কোটি টাকা পাবে যুক্তরাষ্ট্র। এই অর্থ দেশটির নারী ও পুরুষ দলের মধ্যে ভাগ হবে। অর্থাৎ ছেলেদের বিশ্বকাপ থেকে ৭০ কোটি টাকা পাবেন নারী ফুটবলাররা। আর এবারের বিশ্বকাপে ক্রিস্টিয়ানো পুলিসিচ-সার্জিনিও দেস্তরা যত দূর পর্যন্ত যাবেন সে অনুযায়ী ফিফার প্রাইজমানির অর্থ বাড়বে আর নিজেদের মধ্যে সমবণ্টনও হবে।
অনেক দিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবলে নারী-পুরুষের সমান অধিকার নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছিল। সেই আলোচনা-সমালোচনা আরও বাড়ে ২০১৯ সালে নারীরা চতুর্থবারের মতো বিশ্বকাপ জিতলে। নারীদের বিশ্বকাপ জয়ের পর বৈষম্যটি আরও ব্যাপকভাবে আলোচিত হলে সমঅধিকার নীতি অনুসরণ করে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে নারীরা চারবার বিশ্বকাপ জিতলেও পুরুষদের সাফল্য সেমিফাইনাল পর্যন্ত। সেটি আবার ১৯৩০ প্রথম বিশ্বকাপে। অথচ দেশকে চ্যাম্পিয়ন করতে না পারা পুরুষ দলই নারীদের চেয়ে বেশি বেতন পেত। সেই বৈষম্যের অবসান হচ্ছে এবারের বিশ্বকাপের প্রাইজমানি বণ্টনের মাধ্যমে। একই নিয়মে পুরুষরাও ভাগ পাবেন নারী দলের সাফল্যে।
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে