মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, ‘বিচার বিভাগ ও সংবিধান বিশেষজ্ঞরা যথাযথ দায়িত্ব পালন করলে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার পেতে জাতিকে ৩৪ বছর অপেক্ষা করতে হতো না।’
আজ বুধবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসানের স্মরণসভায় মন্ত্রী এ কথা বলেন। বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতি এই স্মরণসভার আয়োজন করে। সিনিয়র আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ুনের সভাপতিত্বে স্মরণসভায় আরও বক্তব্য দেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, সিনিয়র আইনজীবী জেড আই খান পান্না, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মোমতাজ উদ্দিন ফকির ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুন নূর দুলাল প্রমুখ।
মন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর জিয়াউর রহমানের সময় ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ সংসদে পাস হয়েছিল। এটিকে সংবিধানের একটি অংশে পরিণত করে নাম রাখা হয় পঞ্চম সংশোধনী। সুপ্রিম কোর্ট বহু ক্ষেত্রে সুয়োমোটো রুল ইস্যু করেন। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট সুয়োমোটো রুল ইস্যু করে কেন বলেনি যে, সংবিধানের মূলনীতি অনুযায়ী এটা কোন আইন নয়? কেননা খুনিদের বিচার করা যাবে না–এমন সিদ্ধান্ত সংবিধান পরিপন্থী। ইনডেমনিটি যে সংবিধানের অংশ হতে পারে না, দেশের সংবিধান বিশেষজ্ঞরা কেউ কোনদিন কেন বলেনি? বিচার বিভাগ ও সংবিধান বিশেষজ্ঞরা যথাযথ দায়িত্ব পালন করলে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার পেতে জাতিকে ৩৪ বছর অপেক্ষা করতে হতো না।’
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, ‘অসাংবিধানিক উপায়ে ক্ষমতা দখলের চেষ্টা রাষ্ট্রদ্রোহিতা। দেশের সর্বোচ্চ আইন হলো সংবিধান। সেখানে বলা হয়েছে সবকিছু পরিচালিত হবে সাংবিধানিকভাবে, আইনসংগতভাবে। কীভাবে সরকার গঠন হবে তাও সেখানে বলা হয়েছে। সংবিধান পরিপন্থীভাবে যদি কেউ কিছু অর্জন করতে চায় বা তাতে উসকানি দেয় তাহলে সংবিধান অনুযায়ী তার কৃতকর্ম হবে রাষ্ট্রদ্রোহিতা। আর সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রদ্রোহিতার সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।’
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে