সীমান্তে মাদক, চোরাচালান, অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধে যৌথ টহলে সম্মত হয়েছে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার। গত ২৩ থেকে ২৭ নভেম্বর নেপিডোতো অনুষ্ঠিত বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) ৮ম সীমান্ত সম্মেলনে নিয়ে প্রেস ব্রিফে জানিয়েছেন বিজিবি ডিজি মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ। জলপথের পাশাপাশি অচিরেই স্থলপথে টহল শুরু হবে বলে জানান তিনি।
দুই সীমান্তে বিচ্ছিন্নতাবাদী ও সন্ত্রাসী সংগঠন মোকাবিলায় রিয়েল টাইম ইন্টিজিলেন্স (তাৎক্ষণিক তথ্য) শেয়ার করার বিষয়ে ঐক্যমত্যে হয়েছে বলেও জানান সাকিল আহমেদ।
সংবাদ সম্মেলনে সাকিল আহমেদ জানান, প্রায় তিন বছর পর দুই দেশের এ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হল। অনেক বিষয়ে আলোচনা হওয়া দরকার ছিল।
বিজিবির ডিজি সম্মেলনের বাইরে মায়ানমারের উপ-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ইউনিয়ন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গেও আলাদাভাবে সাক্ষাত করেন। এই সময় তিনি বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মায়ানমার নাগরিকদের দ্রুত প্রত্যাবাসনের পাশাপাশি দুই বাহিনীর পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় এবং অন্যান্য দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলে বিজিবির উর্দ্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ ছাড়াও স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ও অন্যান্য সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দও অন্তর্ভুক্ত ছিলেন।
অপরদিকে, ডেপুটি চীফ অব মায়ানমার পুলিশ ফোর্স-এর পুলিশ মেজর জেনারেল অং নেইং জু এর নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের মায়ানমার প্রতিনিধিদল সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। মায়ানমার প্রতিনিধিদলে মায়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি)-এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ ছাড়াও সে দেশের প্রতিরক্ষা, স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্র এবং অভিবাসন ও জনসংখ্যা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিবৃন্দও অন্তর্ভূক্ত ছিলেন।
৯ম সীমান্ত সম্মেলন ২০২৩ সালের মে/জুন মাসে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে বলে সিদ্ধান্ত হয় নেপিডো সম্মেলনে।
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে