ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির এক ভাগনি তেহরানের সঙ্গে বিশ্বের দেশগুলোকে সম্পর্ক ছিন্ন করার আহ্বান জানিয়েছেন। তাঁকে গ্রেপ্তারের দুদিন পর জনপ্রিয় অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ইউটিউবে শেয়ার করা এক ভিডিওতে তিনি তেহরানের সরকারকে ‘খুনি ও শিশু-হত্যাকারী’ বলে আখ্যা দিয়ে তাদের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করার আহ্বান জানান।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের শাসকগোষ্ঠীকে চাপে রাখতে বিশ্ববাসীকে তেহরানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার আহ্বান জানিয়েছেন আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির ভাগনি ফারিদেহ মোরাদখানি। গত শুক্রবার ফ্রান্সে থাকা তাঁর ভাই মাহমুদ মোরাদখানি ওই ভিডিও শেয়ার করেন। শেয়ার করার পরপরই ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে পড়ে।
ফারিদেহের গ্রেপ্তারের বিষয়ে তাঁর ভাই মাহমুদ বলেন, তাঁর বোনের বিরুদ্ধে সমন জারির পর তিনি কৌঁসুলির কার্যালয়ে গেলে তাঁর বোনকে গত বুধবার গ্রেপ্তার করা হয়। ফারিদেহ মোরাদখানি একজন সুপরিচিত মানবাধিকার কর্মী। ভিডিওতে তিনি ইরানি কর্তৃপক্ষের নিপীড়নের নিন্দা জানান এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নিষ্ক্রিয়তার সমালোচনা করেন।
ফারিদেহ মোরাদখানি বলেন, ‘ধর্মীয় নীতি-নৈতিকতার প্রতি খামেনি সরকারের কোনো আনুগত্য নেই। ক্ষমতা ধরে রাখতে ও বলপ্রয়োগ করতে তারা যে কোনো উপায় বেছে নিচ্ছে।’ তিনি ইরানিদের ওপর সরকারের ‘সুস্পষ্ট নিপীড়নের’ নিন্দা করেছেন এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নিষ্ক্রিয়তার সমালোচনা করেছেন।
ভিডিওতে ফারিদেহ বলেছেন, ‘এই শাসনব্যবস্থা কোনো ধর্মীয় নীতির প্রতি অনুগত নয় এবং বলপ্রয়োগ ছাড়া কোনো আইন বা নিয়ম তাঁরা জানে না এবং যেকোনো উপায়ে তাঁরা ক্ষমতা বজায় রাখতে চায়।’ তিনি অভিযোগ করেন, বিদ্রোহ দমনে সরকারে ক্র্যাকডাউনের প্রতিবাদে ইরানের সরকারের বিরুদ্ধে আরোপিত নিষেধাজ্ঞাগুলো ‘হাস্যকর’।
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে