মোংলা বন্দরের হারবাড়িয়া এলাকায় পাথরবাহী লাইটার জাহাজ ডুবে গেছে। গতকাল বুধবার গভীর রাতে এম ভি মাস্টার দিদার নামের জাহাজটি ডুবে যায়।
জাহাজটিতে ৬০০ টন পাথর ছিল বলে জানিয়েছে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ। তবে জাহাজটি বন্দরের মূল চ্যানেলের বাইরে ডুবেছে বলে বন্দরের মূল চ্যানেল দিয়ে জাহাজ আগমন-নির্গমনে সমস্যা হচ্ছে না বলে দাবি করেছেন মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার বিভাগ।
এদিকে অভিযোগ উঠেছে লাইটার জাহাজটির সার্ভে সনদ মেয়াদোত্তীর্ণ ও ফিটনেসবিহীন ছিল। এ অবস্থায় কীভাবে এই জাহাজটি নৌপথে মালামাল পরিবহন করছিল এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার বিভাগ সূত্রে জানা যায়, মোংলা বন্দরের ৬ নম্বর মুরিং বয়ায় অবস্থানরত একটি বিদেশি জাহাজ থেকে ৬০০ টন পাথর বোঝাই করে এম ভি মাস্টার দিদার লাইটার জাহাজটি যশোরের নওয়াপাড়ার উদ্দেশ্য বৃহস্পতিবার ছেড়ে আসে। পথে পশুর নদীর হারবাড়িয়া এলাকায় অন্য একটি লাইটারেজ জাহাজের সঙ্গে ধাক্কা লেগে তলা ফেটে ডুবে যায় জাহাজটি। তবে এ সময় ওই জাহাজে থাকা ১০ জন স্টাফ লাফ দিয়ে বেঁচে যান।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ শাহীন মজিদ বলেন, ডুবে যাওয়া জাহাজের মালিক দেলোয়ার হোসেনকে ডাকা হয়েছে। দ্রুত এটি উত্তোলনের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া মেয়াদোত্তীর্ণ সার্ভে সনদ নিয়ে জাহাজটি কীভাবে পণ্য পরিবহন করছে তার ব্যাখ্যাও চাওয়া হবে।
এ ব্যাপারে জানার জন্য জাহাজের মালিক দেলোয়ার হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও পাওয়া যায়নি।
খুলনা নৌপরিবহন অধিদপ্তরের পরিদর্শক মো. রাশেদুল আলম বলেন, ‘আমাদের কাজ জাহাজের রেজিস্ট্রেশন দেওয়া। ফিটনেসবিহীন ও মেয়াদোত্তীর্ণ যেসব নৌযান নদীতে চলাচল করবে তা দেখার দায়িত্ব বন্দর কর্তৃপক্ষের, বিআইডব্লিউটিএ এবং নৌ পুলিশের।
তিনি আরও বলেন, পাথর নিয়ে যে জাহাজটি ডুবেছে, সেই’ মাস্টার দিদার’ নামে জাহাজটির বিরুদ্ধে মেয়াদোত্তীর্ণ সার্ভে সনদ ও ফিটনেসবিহীন থাকায় গত মাসে মেরিন কোর্টে মামলা দিয়েছি। এখনো শুনানি হয়নি। এটি এখনো পণ্য পরিবহন করে পাথর নিয়ে ডুবছে। তদন্ত কমিটি গঠন করে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান রাশেদুল আলম।
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে