দেশের ব্যাংকগুলোতে যথেষ্ট টাকা রয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘অনেকে বলে ব্যাংকে টাকা নাই। কেউ কেউ ব্যাংক থেকে টাকা তুলছে। ব্যাংকে থেকে টাকা তুলে ঘরে রাখলেতো চোরে নিয়ে যাবে। চোরের জন্য সুযোগ করে দেওয়া। ব্যাংকে টাকা নেই কথাটা মিথ্যা।’
যশোর শামস-উল হুদা স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা।
সরকার প্রধান বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের কারণে সারা পৃথিবীতে অর্থনৈতিক মন্দা। বাংলাদেশের অর্থনীতিকে এখনো আমরা শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড় রাখতে সক্ষম হয়েছি। আমি দেখি কেউ কেউ রিজার্ভ নিয়ে কথা বলে। রিজার্ভের কোন সমস্যা নাই।’
বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ কর্মকার্তাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বৈঠক করেছেন বলে জানান তিনি। বলেন, ‘টাকা নিয়ে কোনো সমস্যা নাই। প্রত্যেকটা ব্যাংকে যথেষ্ট টাকা আছে। আমাদের রেমিট্যান্স আসছে। বিদেশ থেকে বিনিয়োগ আসছে। আমদানি আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। রপ্তানি আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। ট্যাক্স বৃদ্ধি পেয়েছে। বৈশ্বিক মন্দায় অন্য দেশগুলো যেখানে হিমশিম খাচ্ছে, সেখানে বাংলাদেশের অর্থনীতি যথেষ্ট শক্তিশালী আছে।’
এরআগে, যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে জনসভা শুরু হয়েছে। জেলা সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য শাহীন চাকলাদারের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আবদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বিএনপিকে ‘বেইমানের’ দল উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিশ্বাসঘাতকের দল। এরা ১৫ আগস্টে সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে। জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পুরস্কৃত করেছে। খুনিদের দায়মুক্তি দিয়ে আইন করেছে। এরা খুনি, ঘাতক।’
কাদের বলেন, ‘বিএনপির আরেক নাম বাংলাদেশ নালিশ পার্টি। বিশ্বাসঘাতকের অপর নাম জিয়াউর রহমান। তিনি যদি বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত না থাকতেন তাহলে কারও সাহস ছিল না বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করতে। বেইমানের দল, বিশ্বাসঘাতকের দল, ঘাতকের দল বিএনপি।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ঢাকা শহরে বড় বড় লোকেরা বাসায় কুকুর রাখে, আর বাড়ির সামনে লিখে রাখে কুকুর হতে সাবধান। আমরা বলি বিএনপি থেকে সাবধান। তারা যখন ক্ষমতায় ছিল বিদ্যুৎ, রিজার্ভ ও গণতন্ত্র গিলেছে। ভোট চুরি করেছে। তারা যদি আরেকবার ক্ষমতায় আসে গোটা বাংলাদেশ গিলে খাবে।’
যশোরেও ‘খেলা হবে’ বলে বক্তব্য দেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ডিসেম্বর মাস সামনে প্রস্তুত হয়ে যান। মির্জা ফখরুল ইসলাম এখন বড় বড় কথা বলছেন। গণতন্ত্র হত্যাকারী, তোমাদের মুখে গণতন্ত্রের বুলি শোভা পায় না। এই বিএনপির বিরুদ্ধে খেলা হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, যশোর ও খুলনা সড়ক এক মাসের ঠিক করার জন্য প্রকৌশলীদের নির্দেশনা দেন সড়ক পরিবহন মন্ত্রী। তিনি বলেন, এক মাসের মধ্যে ঠিক না হলে খবর আছে।
প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে উৎসবের শহরে পরিণত হয়েছে যশোর। সকাল থেকে জনসভায় আসতে শুরু করেন নেতা-কর্মীরা। দুপুর ২টায় সমাবেশ শুরু হলেও সকাল ৯টা থেকেই যশোর জেলার আট উপজেলাসহ আশপাশের জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে নেতা-কর্মীরা আসতে শুরু করেন। অনেকে ব্যাগে করে দুপুরের খাবারও নিয়ে এসেছেন। রং-বেরঙের গেঞ্জি আর লাল-সবুজ শাড়ি পরে এসেছেন নেতা-কর্মীরা।
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে