চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ১০ মাসে কেনিয়ায় অন্তত ২০৫টি হাতির মৃত্যু হয়েছে। এর কারণ হিসেবে দেশটির পর্যটনমন্ত্রী বিগত ৪০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ খরাকে দায়ী করেছেন। সব মিলিয়ে ৭১৭টি প্রাণীর মৃত্যু হয়েছে। এই খরা কেবল কেনিয়ায়ই নয়, ছড়িয়ে পড়েছে পূর্ব আফ্রিকার দেশগুলোতেও। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
যদিও সাম্প্রতিক সময়ে এই অঞ্চলে যৎসামান্য বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে, তবে তা যথেষ্ট নয়। কেনিয়ার আবহাওয়া বিভাগের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আসন্ন মাসগুলোতে যে পরিমাণ বৃষ্টিপাত হবে তা এই অঞ্চলের প্রয়োজনের তুলনায় খুবই সামান্য। যার ফলে এই শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে যে চলমান খরার কারণে কেনিয়ার জীববৈচিত্র্যের ওপর যে ঝুঁকি ছিল তা এখনো কাটেনি।
কেনিয়ার পর্যটনমন্ত্রী পেনিনাহ ম্যালোনজা বলেছেন, ‘খরা বন্যপ্রাণীদের মৃত্যুর একটি বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ খাদ্য কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পানিরও ব্যাপক ঘাটতি রয়েছে।’ তিনি আরও জানান, এরই মধ্যে ১৪ প্রজাতির বন্যপ্রাণী খরার কারণে ব্যাপকভাবে ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছে।
এই খরায় ২০৫টি হাতির মৃত্যুর পাশাপাশি আরও ৫১২টি বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণীর মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৩৮১টি জেবরা, ১২টি জিরাফ এবং ৫১টি মহিষ খরার কারণেই এই দশ মাসে মারা গেছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, জিম্বাবুয়ের বেশ কয়েকটি ন্যাশনাল পার্কও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে ৪৯টি বিপন্ন প্রজাতির গ্রেভির জেব্রাও মারা গেছে।
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে