চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শিক্ষক নিয়োগে অর্থ লেনদেন সংক্রান্ত ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিটি দীর্ঘ চার মাস পর প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। আগামীকাল বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় এই প্রতিবেদন উপস্থাপনের কথা রয়েছে।
বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন তদন্ত কমিটির প্রধান অধ্যাপক এ কে এম মাইনুল হক মিয়াজী। তবে তিনি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক এস এম মনিরুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেয়েছি। আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) সিন্ডিকেট সভায় এটা উপস্থাপন করা হতে পারে।’
চলতি বছরের জানুয়ারিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে প্রভাষক নিয়োগে অর্থ লেনদেন সংক্রান্ত পাঁচটি ফোনালাপ ফাঁস হয়। ফোনালাপ ফাঁস হওয়ার মাসখানেক পর বিষয়টি নিয়ে আজকের পত্রিকাসহ গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়। এরপর গত ৫ মার্চ পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও সিন্ডিকেট সদস্য এ কে এম মাইনুল হক মিয়াজীকে প্রধান করে ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠনের কথা জানান উপাচার্য অধ্যাপক শিরীণ আখতার। তদন্ত কমিটিকে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে বলেও জানান তিনি। তবে কমিটি গঠনের ৪ মাস পর প্রতিবেদন জমা দিল তদন্ত কমিটি।
ফাঁস হওয়া পাঁচটি ফোনালাপ ছিল উপাচার্য ড. শিরীণ আখতারের ব্যক্তিগত সহকারী খালেদ মিছবাহুল মুকাররবীন ও হিসাব নিয়ামক দপ্তরের কর্মচারী আহমদ হোসেনের সঙ্গে দুজন নিয়োগপ্রার্থীর। এর মধ্যে একটি ফোনালাপে প্রভাষক পদের এক প্রার্থীর সঙ্গে উপাচার্যের ব্যক্তিগত সহকারীকে অর্থ লেনদেনের বিষয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ কথা বলতে শোনা যায়। অপর একটি ফোনালাপে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলার শীর্ষ ব্যক্তিদের ‘ম্যানেজ’ করতেই উপাচার্যের টাকার প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন কর্মচারী আহমদ হোসেন। এসব ফোনালাপে উপাচার্যের ভাতিজা আজফার কামাল চৌধুরী শাওন, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ইলিয়াস সিদ্দিকী, হিসাব নিয়ামক শাখার কর্মচারী আহমদ হোসেন, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ল্যাব সহকারী আব্দুল মান্নানসহ বেশ কয়েকজনের নাম উঠে এসেছে।
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে