প্রেমঘটিত বিষয়ে কলহের জেরে সাভারের আশুলিয়ায় এক যুবককে রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সোমবার বেলা ১১টায় তাঁর মৃত্যু হয়। গত শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে আশুলিয়ার ভাদাইল এলাকায় ওই যুবক মারধরের শিকার হন। এরপর থেকে তিনি সাভারে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
নিহত যুবকের নাম রাকিবুল হাসান উজ্জ্বল (২০)। তিনি বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দি থানার চন্দনবাইশা গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে। আশুলিয়ার ভাদাইলে একটি বাসায় ভাড়া থেকে ঢাকা ইপিজেডে একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন স্থানীয় যুবক জুয়েল, সুমনসহ অজ্ঞাত ৬-৭ জন।
আশুলিয়া থানার পুলিশ বলছে, গতকাল রোববার ওই যুবকের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে একটি মারামারির মামলা করা হয়েছে। তাঁর মৃত্যু হওয়ায় এখন মামলাটি হত্যা মামলায় পরিবর্তিত হবে।
নিহত ব্যক্তির মামাতো ভাই সজীব বলেন, ‘রাকিবুলকে যখন আমি হাসপাতালে নিয়ে যাই, তখন জিজ্ঞেস করেছিলাম, কারা তাকে মেরেছে। সে তখন বলেছে, “জুয়েল নামে একজন তাঁকে ফোন করে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে দেখে আগে থেকেই ৬-৭ জন লোহার রডসহ প্রস্তুত আছে তাঁকে মারার জন্য। এ সময় দৌড় দিয়ে পালানোর চেষ্টা করলে জুয়েল তাঁকে হাত টেনে ধরে মাটিতে ফালায়। এ সময় সবাই তাঁকে রড দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করছে। পরে তাঁকে উদ্ধার করে আমি হাসপাতালে নিয়ে যাই।’
সজীব আরও বলেন, ‘আমার ফুফাতো ভাই উজ্জ্বলের বন্ধু রাব্বানীর একটি মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সেই মেয়েকে বিয়ে করে সুমন নামের এক ছেলে। বিয়ের পরও ওই মেয়ের সঙ্গে রাব্বানীর যোগাযোগ ছিল। বিষয়টি জানতে পেরে বেশ কয়েক দিন আগে জুয়েল, সুমনসহ কয়েকজন রাব্বানীকে মারতে আসে। কিন্তু রাব্বানী আমার ভাই রাকিবুলসহ বেশ কয়েকজন একসঙ্গে থাকায় জুয়েলরা মার খেয়ে পালিয়ে যায়। পরে বিষয়টি সমাধানও হয়। কিন্তু আগের জের ধরে গত শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে রাকিবুলকে ফোন করে ডেকে নিয়ে রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করে।’
এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রাজু মণ্ডল বলেন, ‘খবর পেয়ে হাসপাতাল থেকে নিহত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় গতকাল রোববার মামলা করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি পূর্ববিরোধের জের ধরে তাঁদের মধ্যে মারামারি হয়েছে।’
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে