শেরপুরের শ্রীবরদীতে পালাক্রমে ধর্ষণের মামলার প্রধান আসামি মো. সুমন আহম্মেদকে (২৪) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১৪। গতকাল রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে র্যাবের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে বিকেলে গাজীপুরের বাসন থানার শহীদ রওশন সড়ক সংলগ্ন এলজিইডি ভবনের সামনে থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত সুমন জামালপুর সদরের হাজীপুর এলাকার মৃত তোতা মিয়ার ছেলে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মোবাইলে পরিচয়ের সূত্রধরে সুমন আহম্মেদ ও ভিকটিমের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক হয়। গত ১২ জুন রাত ১টার দিকে সুমন ভিকটিমকে ঢাকা নিয়ে যাওয়ার কথা বলে উপজেলার খোশালপুর পুটল এলাকার আলমগীরের টিনের আনেন। পরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে সুমন আহম্মেদ, জাহিদ ও আকরাম মিলে পালাক্রমে ধর্ষণ করে কৌশলে পালিয়ে যান।
এ ঘটনায় গত ২৩ জুন ভিকটিম বাদী হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখ করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে শ্রীবরদী থানায় মামলা দায়ের করে। মামলা দায়েরের পর পুলিশ পুটল গ্রামের আকরাম (৩৫) ও জাহিদকে (২৪) গ্রেপ্তার করে। ওই সময় পলাতক ছিলেন মামলার প্রধান আসামি সুমন আহম্মেদ।
অপরদিকে, ঘটনার পর থেকে র্যাব-১৪, সিপিসি-১ ও জামালপুর ক্যাম্পের অভিযানকারী দল তদন্ত করে সুমন আহম্মেদকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রাখে। অবশেষে গতকাল বিকেল ৪টার দিকে র্যাব-১৪, সিপিসি-১ ও জামালপুর ক্যাম্পের একটি অভিযানকারী দল তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
র্যাব-১৪, সিপিসি-১ ও জামালপুর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার আশিক উজ্জামান বলেন, এ ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এ বিষয়ে শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মো. আবু সাঈম বলেন, মামলা দায়েরের পর দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। র্যাব মামলার প্রধান আসামিকেও গ্রেপ্তার করে।
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে