কোরবানির ঈদ আসন্ন। ঈদের জন্য কীভাবে এবং কোন কোন মসলা আগে থেকে সংরক্ষণ করা সুবিধাজনক তা জেনে নিতে পারেন।
বাটা মসলা
যেহেতু মসলা পেস্ট করতে বা বাঁটতে হলে আগে থেকে কুচি করে নিতে হয়, তাই পুরো প্রক্রিয়ায় বেশ ভালোই সময় প্রয়োজন হয়। ঈদের ছয়-সাত দিন আগে থেকে পেঁয়াজ, আদা, রসুন, পোস্তদানা, কাঠবাদামবাটা এগুলো করে আলাদা আলাদা কনটেইনারে করে ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন। তাতে ঈদের দিন রান্নায় সময় ও শ্রম দুটোই কম লাগবে।
কাটা মসলা
মসলা বাটা কিংবা গুঁড়ো করার আগে অবশ্যই কেটে নিতে হয়। তাই মসলা কাটার সময় আপনি একেবারে বাটা ও গুঁড়ো করার জন্য পরিমাণমতো নিয়ে নিতে পারেন। মসলা কাটার পর ছোট ছোট কৌটায় ভরে আগুন থেকে দূরে রেখে দিন। এতে করে অনেক দিন কাটা মসলাগুলো ভালো থাকবে।
গুঁড়ো মসলা
দারুচিনি, জিরা, ধনে, গোলমরিচ, গরমমসলা এগুলো আগে থেকে গুঁড়ো করে নিয়ে এয়ার টাইট কনটেইনারে রেখে দিন। এই মসলাগুলো ব্লেন্ডার বা পাটায় গুঁড়ো করার সময় অবশ্যই দেখে নেবেন শিল-পাটা বা ব্লেন্ডারে যেন কোনো পানি না থাকে। পানি থাকলে মসলার গুঁড়ো পড়ে জমাট বেঁধে যাবে।
টালা মসলা
টালা জিরা বা ধনে আগে থেকে তো করে রাখবেনই, সেই সঙ্গে খাবার পরিবেশন ও রান্না করার সময় ব্যবহারের জন্য এই টালা মসলাগুলো আলাদা আলাদা কনটেইনারে রাখতে পারেন। এতে করে টালা মসলা খাবারে যে সুঘ্রাণের জন্য ব্যবহার করা হয় তা বজায় থাকবে।
গোটা মসলা
মসলার ঘ্রাণ এবং মান ঠিক রাখতে মসলাগুলো প্যাকেট থেকে ছিঁড়ে নিয়ে আলাদা আলাদা কনটেইনারে রাখুন।
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে