নীলফামারীর সৈয়দপুরের স্কুলছাত্র নাফিস ইসতে তওফিক অন্তু এবার হাতের পিঠে এক মিনিটে ১০০ এবং ৩০ সেকেন্ডে ৬৫টি পেনসিল রেখে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নিজের নাম তুলেছে। এর আগে সে দ্রুততম সময়ে ১০টি মাস্ক পরে ও হাতের স্পর্শ ছাড়াই কলা খেয়ে রেকর্ড গড়েছিল।
নাফিস উপজেলার নীলকুঞ্জ আবাসিক এলাকার ইউনূছ আলীর ছেলে এবং সৈয়দপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্র।
নতুন রেকর্ড করার বিষয়ে নাফিস আজকের পত্রিকাকে বলে, ‘রেকর্ড দুটি ভাঙার জন্য আমি কিছুদিন ধরে প্রস্তুতি নেওয়ার পর সেটি আমার আওতায় চলে আসে। তখন আমি এ বিষয়ে গিনেস বুকের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এ বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি আবেদন করি। গিনেস বুক ৫ মার্চ আমার আবেদন গ্রহণ করে অনুমতি দেয়। তাদের নির্দেশনা মতে আমার রেকর্ড দুটির ভিডিও বার্তা পাঠানোর জন্য বলা হয়। সে অনুযায়ী ভিডিও পাঠাই। গিনেস কর্তৃপক্ষ ৩০ জুন ইমেইলের মাধ্যমে জানায় আমার রেকর্ড দুটি সফল হয়েছে। আমি এবার এই ক্যাটাগরিতে বিশ্বরেকর্ড হোল্ডার। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে গিনেস বুকের রেকর্ড ভাঙার স্বীকৃতিপত্র পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।’
নাফিস জানায়, করোনায় স্কুল বন্ধ থাকার সময় গত বছর সে স্ট্যাপলারের পিন দিয়ে শিকল তৈরি করে ৭ দশমিক ১৬ সেকেন্ডে ১০টি সার্জিক্যাল মাস্ক পরিধান করে দুটি রেকর্ড গড়তে সক্ষম হয়।
নাফিসের মা নাসমুন নাহার বলেন, ‘আমার ছেলে ছোট থেকেই বিভিন্ন যন্ত্রপাতি কেনা নিয়ে ব্যস্ত থাকে। প্রতিনিয়তই তার নতুন কিছু করার চিন্তা থাকে। সে পরপর চারটি বিশ্বরেকর্ড করেছে। এতে মা হিসেবে আমি গর্বিত।’
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে