আধিপত্য বিস্তার ও বালু ব্যবসার বিরোধকে কেন্দ্র করে বরিশালের গৌরনদী উপজেলা যুবলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য সলিল গুহ পিন্টুকে (৪২) কুপিয়ে জখমের ঘটনায় মামলা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার প্রতিপক্ষ যুবলীগ নেতা রাসেল রাঢ়ি ও তাঁর তিন ভাইসহ ১০ জনের নাম উল্লেখসহ ১৪ জনকে আসামি করে গৌরনদী মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আহত সলিল গুহের মা তাপসী রানি গুহ বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
মামলায় আসামিরা হলেন উপজেলার মাহিলাড়া ইউনিয়নের যুবলীগের সভাপতি মো. রাসেল রাঢ়ি (৪০), তাঁর বড় ভাই সরকারি চাকরিজীবী মো. রাশেদ রাঢ়ি (৪৫), সেজ ভাই ব্যবসায়ী রাজীব রাঢ়ি (৩২) ও ছোট ভাই একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মো. মাসুদ রাঢ়ি (২১) এবং তাঁদের সমর্থক ও আত্মীয়স্বজনেরা।
সলিল গুহ পিন্টু অভিযোগ করে বলেন, তিনি যন্ত্র দিয়ে বালু তুলে ব্যবসা করে আসছেন। গত মঙ্গলবার মাহিলাড়া তহসিল অফিসের সামনে ড্রেজারের পাইপের লাইন বসাতে গেলে প্রতিপক্ষ মাহিলাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি রাসেল রাঢি তার ১০-১২ জন সহযোগীকে নিয়ে পাইপ বসাতে বাধা দেন। এ নিয়ে তাঁদের কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁকে কুপিয়ে জখম করা হয়। বর্তমানে তিনি বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
সলিল গুহের ভাই গৌরনদী উপজেলার মাহিলাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সৈকত গুহ পিকলু বলেন, ‘অভ্যন্তরীণ দলীয় কোন্দলে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে আমার ভাইকে হত্যার উদ্দেশ্যে কিছুদিনের ব্যবধানে তিনবার হামলা চালিয়ে জখম করা হয়েছে।’
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে যুবলীগ নেতা রাসেল রাঢি বলেন, ‘হামলার ঘটনার সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নাই। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে।’গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আফজাল বলেন, এ ঘটনায় রাসেল রাঢিসহ ১৪ জনকে আসামি করে সলিল গুহের মা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে