করোনার কারণে দীর্ঘ প্রায় দেড় বছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের পর গত ২ মার্চ থেকে প্রাথমিকে সশরীরে পাঠদান শুরু হয়েছে। কিন্তু দেখা গেছে, প্রথম মাসে প্রাথমিকে শিক্ষার্থীর অনুপস্থিতি বেশ আশঙ্কাজনক ছিল। কিন্তু একই সময়ে মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে।
বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের একটি গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানের ব্র্যাক সেন্টারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ গবেষণা প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়।
করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের শিশুদের পড়াশোনায় পিছিয়ে পড়ার হার নির্ণয় করতে দুই ধরনের গবেষণা চালিয়েছে ব্র্যাক। গবেষণায় যুক্ত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ভ্যান্ডারবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. স্টিফেন হেইনম্যান, কানাডার সাইমন ফ্রেজার বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক পলিসির অধ্যাপক জন রিচার্ডস এবং ইউএস এআইডির সাবেক জ্যেষ্ঠ শিক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা শহিদুল ইসলাম।
এ ছাড়া করোনাকালীন ও করোনা পরবর্তী বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষা পরিস্থিতি নিয়ে গবেষণা প্রতিবেদন তুলে ধরেন ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব এডুকেশনাল ডেভেলপমেন্ট এর গবেষক সামির রঞ্জন নাথ।
সামির রঞ্জন জানান, বিদ্যালয় খোলার পর প্রথম মাসে বিদ্যালয়ে ফেরেনি প্রায় ৪৩ লাখ শিক্ষার্থী। এ সময়ের মধ্যে প্রাক-প্রাথমিকের প্রায় ৬০ শতাংশ এবং প্রাথমিকের ২৮ শতাংশ শিক্ষার্থী কমে গেছে। বিদ্যালয়ে না ফেরা শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রায় ৩৩ লাখ ২৬ হাজার শিক্ষার্থীর ঝরে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
অন্যদিকে এ সময়ের মধ্যে কওমি, হাফেজিয়া ও নুরানি মাদ্রাসাগুলোতে পাঁচ থেকে ১০ বছর বয়সী শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক বছরের মধ্যে এসব মাদ্রাসায় পাঁচ বছর বয়সী শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১ শতাংশ বেড়েছে। এ ছাড়া ৬ থেকে ১০ বয়সী শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৩ দশমিক ১ শতাংশ।
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে