দেশে যেসব কাগজ উৎপাদন হয় না, সেসব কাগজ আমদানিতে শুল্ক কমানোর দাবি জানিয়েছে কাগজ আমদানিকারক, প্রিন্টিং ও প্যাকেজিং খাতের সাতটি সংগঠন। আজ বুধবার রাজধানীর এক হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন থেকে তারা এ দাবি জানায়।
যৌথভাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বাংলাদেশ লোকাল কার্টুন ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ মুদ্রণ শিল্প সমিতি, বাংলাদেশ পেপার ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন, দ্য বাংলাদেশ পেপার মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ পাঠ্যপুস্তক মুদ্রক ও বিপণন সমিতি, বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি এবং প্যাকেজিং ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ।
সংবাদ সম্মেলনে এফবিসিসিআই সহসভাপতি মো. আমিন হেলালী বলেন, ‘দেশে মাত্র ১১ ধরনের কাগজ উৎপাদন হয়। বাকি কাগজের জোগান আমদানিনির্ভর। কিন্তু এসব কাগজ আমদানিতে সব মিলিয়ে ৪৭ শতাংশ শুল্ক পরিশোধ করতে হয়।’
আমিন হেলালী বলেন, ‘দেশের মুদ্রণ, প্রকাশনা ও প্যাকেজিং শিল্পের প্রধান কাঁচামাল হিসেবে ডুপ্লেক্স বোর্ড, আর্ট পেপার, আর্ট কার্ড, ক্র্যাফট লাইনার পেপার, উন্নতমানের ছাপার কালি, মুদ্রণ প্লেট, বাঁধাইযোগ্য গ্লু (আঠা) ইত্যাদি ওষুধ শিল্পসহ দৈনন্দিন ব্যবহৃত সব ধরনের মোড়ক এবং ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পে ব্যবহৃত হয়। বিপুল চাহিদার পরও দেশে এসব পণ্যের উৎপাদন হয় না।’
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এনসিটিবি ২৩০ জিএসএম আর্ট কার্ডের টেন্ডার দেয়। বছরে ১০ হাজার মেট্রিক টন আর্ট কার্ডের চাহিদা রয়েছে সংস্থাটির। এই আর্ট কার্ডও দেশে উৎপাদন হয় না। বর্তমানে এই সবগুলোতে উচ্চ শুল্ক দিতে হচ্ছে। তার ওপর প্রস্তাবিত বাজেটে এ আমদানি শুল্ক ১৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করা হয়েছে, যা এ শিল্পকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। এ জন্য মুদ্রণ, প্রকাশনা, প্যাকেজিং ও ওষুধ শিল্পের এ কাঁচামাল আমদানিতে শুল্ক কমিয়ে ৫ শতাংশ করার দাবি জানান আমিন হেলালী।
এর কারণ হিসেবে আমিন হেলালী বলেন, ‘উচ্চ শুল্ক বহাল থাকলে কাগজ আমদানি কমে যাবে, দামও বেড়ে যাবে। এতে পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণের সময় বাজারে কাগজের সংকট দেখা দেবে। ফলে বন্ডেড সুবিধার অপব্যবহার বাড়বে। তখন বন্ডেড সুবিধায় আসা কাগজ খোলাবাজারে বিক্রি হবে। এতে সরকারকে বিপুল অঙ্কের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হতে হবে।
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে