সরকারের নির্দেশ অমান্য করে ময়মনসিংহ নগরে চলছে রমরমা কোচিং ব্যবসা। শিক্ষকেরা বলছেন, করোনার ক্ষতি পোষাতে কোচিং সেন্টার চালু রেখেছেন তাঁরা। ১৫ জুন থেকে কোচিং সেন্টার বন্ধ করে দেওয়ার সরকারি নির্দেশ রয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে নগরীর কোচিং সেন্টার খ্যাত নাহা রোড, বাউন্ডারি রোড, পিয়ন পাড়া, কালীবাড়ি ও জিলা স্কুল রোডে গিয়ে দেখা যায়, অধিকাংশ কোচিং সেন্টার চালু রয়েছে। পুরোদমে চলছে ক্লাস।
বাউন্ডারোড গিয়ে দেখা যায়, মোতালেব কোচিং সেন্টারে ক্লাস চলছে। পরিচালক আব্দুল মোতালেব নিজেই ক্লাস নিচ্ছেন পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের। ১৫ জুন থেকে কোচিং সেন্টার বন্ধ ঘোষণার পরও ক্লাস পরিচালনার কথা জানতে চাইলে আব্দুল মোতালেব বলেন, ক্লাস শেষে আজ থেকেই বন্ধ করে দেব কোচিং সেন্টার।
ফয়েজ ক্যাডেট একাডেমির চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী মোবাশিরা ইয়াসমিন স্নিগ্ধা বলে, ‘মাত্রই ক্লাস থেকে বের হয়েছি। কোচিং বন্ধের বিষয়ে স্যারেরা আমাদের কিছু বলেননি। তাই আমরা নিয়মিত আসব।’
এদিকে সানশাইন কোচিং সেন্টারে গিয়ে দেখা গেছে, পুরোদমে ক্লাস নিচ্ছেন শিক্ষক সায়েম আহম্মেদ। তাঁর কাছে কোচিং সেন্টার বন্ধের বিষয় জানতে চাইলে তিনি উগ্র আচরণ করেন। বলেন, ‘কোচিং না চালালে কী করে চলব?’
অভিভাবক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘অনলাইন ক্লাস নেওয়ার কথা থাকলেও সরাসরিই সব কোচিং সেন্টার ক্লাস নিচ্ছে। বাধ্য হয়ে বাচ্চাদের কোচিংয়ে নিয়ে আসতে বাধ্য হচ্ছি।’
কোচিং সেন্টার পরিচালনা কমিটি ময়মনসিংহ জেলা শাখার সভাপতি মাহমুদুল হাসান নয়ন বলেন, ‘সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা মূল ধারার শিক্ষকেরা কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে এখনো অনেক শিক্ষক কোচিং সেন্টার চালু রাখায় কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। প্রশাসন অভিযান পরিচালনা করলেই সব ঠিক হয়ে যাবে।’
জেলা জনউদ্যোগের আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম চন্নু বলেন, ‘সরকার ভালোর জন্যই সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছে। এ সিদ্ধান্তকে শিক্ষকদের স্বাগত জানানো উচিত। প্রশাসন কঠোর হস্তক্ষেপ নেবে আশা করি।’
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘১৯ জুন থেকে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হবে। পরীক্ষা নির্বিঘ্ন করার লক্ষ্যে কোচিং সেন্টার বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। যাঁরা সরকারের আদেশ অমান্য করে কোচিং সেন্টার চালাচ্ছেন তাঁদের বিরুদ্ধে দ্রুতই আইনগতভাবে অভিযান পরিচালক করা হবে।’
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে