যমুনা ব্যাংকের করা প্রতারণা মামলায় আমান গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল ইসলাম এবং দুই পরিচালক শফিকুল ইসলাম ও তৌফিকুল ইসলামকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার দুপুর ২টার দিকে রাজশাহীর অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. রেজাউল করিম এ আদেশ দিয়েছেন। রাজশাহী মহানগর পুলিশের আদালত পরিদর্শক আবুল হাশেম আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
কারাগারে যাওয়া তিন আসামি সহোদর ভাই। রাজশাহী মহানগরীর সাগরপাড়া এলাকায় তাঁদের বাড়ি।
আদালত পরিদর্শক আবুল হাশেম জানান, আসামিরা উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের জামিনে ছিলেন। সেই মেয়াদ শেষে উচ্চ আদালতের আদেশ মোতাবেক আজ সোমবার তাঁরা নিম্ন আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করেন। তবে আদালত জামিন আবেদন নাকচ করে তাঁদের কারাগারে পাঠান।
জানা গেছে, ২০১৯ সালে যমুনা ব্যাংকের রাজশাহী শাখার তৎকালীন ব্যবস্থাপক মনজুরুল আহসান শাহ এই তিনজনের বিরুদ্ধে নগরীর শাহমখদুম থানায় মামলাটি করেছিলেন। ঋণ নিয়ে প্রতারণার অভিযোগে ৪২০ ও ৪০৬ ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়।
যমুনা ব্যাংকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মেসার্স আরএসএন্ডটি ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারীও তৌফিকুল ইসলাম। তিনি এই প্রতিষ্ঠানের নামে যমুনা ব্যাংকের রাজশাহী শাখা থেকে ৮৮ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। তাঁর এই ঋণের জামিনদার ছিলেন তাঁর ভাই রফিকুল ইসলাম ও শফিকুল ইসলাম। ঋণ নেওয়ার পর তাঁরা জাল জালিয়াতির মাধ্যমে বন্ধকি সম্পত্তি অন্যত্র হস্তান্তর করেন। এতে মেসার্স আরএসএন্ডটি ইন্টারন্যাশনালের ৮৮ কোটি টাকা খেলাপি ঋণ হয়ে যায়।
এ নিয়ে ২০১৯ সালে যমুনা ব্যাংকের রাজশাহী শাখার তৎকালীন ব্যবস্থাপক মনজুরুল আহসান শাহ এই তিনজনের বিরুদ্ধে নগরীর শাহমখদুম থানায় প্রতারণার মামলা করেন। এই মামলায় রাজশাহীর আদালত তিনজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আমান গ্রুপের বিজনেস কো-অর্ডিনেটর মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘যমুনা ব্যাংকের একটি মামলায় চেয়ারম্যান ও দুই পরিচালক জামিন নিতে গিয়েছিলেন। আদালত তা নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন। মামলাটা কী ছিল, সেটা আমি জানি না।’
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে