ম্যাচের তখন যোগ করা সময়ের খেলা চলছে। কিন্ত অ্যানফিল্ডে লিভারপুল সমর্থকদের চোখ মাঠে নিজেদের দলের দিকে নয়, তাকিয়ে আছে মোবাইলের স্ক্রিনের দিকে। কারণ ইতিহাদে ম্যানচেস্টার সিটি গোল খেলেই লিভারপুলের শিরোপা জয়ের রাস্তা পরিষ্কার। শেষ পর্যন্ত তা অবশ্য হলো না। উলভসের বিপক্ষে ৩-১ গোলে জিতেও শিরোপা জেতা হলো না মোহামেদ সালাহদের। ইতিহাদে ততোক্ষণে সিটির শিরোপা উৎসব শুরু হয়ে গেছে।
ম্যাচের আগে লিগ শিরোপা জয়ের পাল্লা সিটির দিকেই হেলে ছিল। কারণ সমীকরণ নিজেদের পক্ষে ছিল, জিতলেই শিরোপা নিশ্চিত। অন্যদিকে শিরোপা জিততে লিভারপুলের শুধু জিতলেই হতো না পয়েন্ট হারতে হতো সিটিকে। এমন সমীকরণের ম্যাচে ৭৬ মিনিট পর্যন্ত ২-০ গোলে পিছিয়ে ছিল সিটি।
লিভারপুল-উলভস ম্যাচও তখন ১-১ গোলের সমতা। এরপরেই পাশার দান উল্টে দেয় সিটি। ৫ মিনিটের ব্যবধানে দুই গোল শোধ করে এক গোলের লিড নেয় গার্দিওলার দল। শুরুটা সুপার সাব একাই গুন্দুওয়ানের গোল দিয়ে। দুই মিনিট পরেই সিটিকে সমতায় ফেরান রদ্রি। এর ঠিক তিন মিনিট পরে সিটিজেনদের এগিয়ে দিয়ে লিভারপুল সমর্থকদের হতাশায় ডুবান গুন্দুয়ান।
সিটি এগিয়ে গেলে তেতে উঠে মানে, সালাহরাও। ৮৪ থেকে ৮৯ মিনিটের মধ্যে তারাও ৩-১ গোলে এগিয়ে যায়। ক্লপের দল যখন জয়ের দাড়প্রান্তে ইতিহাদে তখন সিটিজেন সমর্থকেরা শিরোপা জয়ের ক্ষণ গুনছিল। শেষ পর্যন্ত লিড ধরে রেখে তারায় শেষ হাসি হাসল। এই জয়ে লিগ শিরোপা ধরে রাখল ফোডেন-মাহরেজরা।
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে