নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে স্কুলছাত্রী তাছলিমা আক্তারকে (১৬) কুপিয়ে জখমের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। তাছলিমা বর্তমানে মোহনগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে। মোহনগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাশেদুল ইসলাম আজ রোববার মামলার বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গতকাল শনিবার রাতে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
আসামিরা হলেন—উপজেলার রামজীবনপুর গ্রামের সারোয়ার জাহান তাজ্জুতের ছেলে আশরাফুল ইসলাম মুন্না (২০), তাঁর ভাই মোবারক হোসেন (২৩), মোস্তাকিম মিয়া (২২), চাচা দেলোয়ার জাহান ছোটন (৪৮) এবং চাচাতো ভাই রাতুল মিয়া (১৮)।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমার মেয়ের কপালে দায়ের কোপে গভীর ক্ষত হয়েছে। ডান চোখ ফুলে আছে। অনেকগুলো সেলাই লেগেছে। শঙ্কায় আছি কি হয়। বর্তমানে মোহনগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে। চিকিৎসক বলেছেন, আরও বেশ কয়েক দিন ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিতে হবে। এ ঘটনার আমি সুষ্ঠু বিচার চাই।’
মোহনগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাশেদুল ইসলাম বলেন, মামলার পরপরই আসামিরা গা ঢাকা দিয়েছে। তাদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।
উল্লেখ্য, নেত্রকোনার মোহনগঞ্জের রামজীবনপুর গ্রামের দশম শ্রেণির ছাত্রী তাছলিমা আক্তারকে গত শুক্রবার বিকেলে দা দিয়ে কুপিয়ে জখম করে মুন্না নামের এক তরুণ। এ ঘটনায় বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর মামলা নেয় পুলিশ। ওই ছাত্রীর কপালে আড়াই ইঞ্চি গভীর ক্ষত হয়েছে বলে জানান চিকিৎসক। তাছলিমা আক্তার রামজীবনপুর গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে।
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে