প্রতিবেশী দেশ ভারতের বেঙ্গালুরুতে গত বছর আলোচিত ধর্ষণ ও নির্যাতনের ঘটনায় ভুক্তভোগী তরুণীকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের কর্মকর্তারা। এর আগে আজ রোববার বেলা ১টার দিকে ওই তরুণীকে তেজগাঁও ডিসি কার্যালয়ে আনা হয়।
আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ডিসি কার্যালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘গতকাল (শনিবার) সন্ধ্যায় বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে ভুক্তভোগীকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করে ভারত। এরপর তাঁকে তেজগাঁও ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রাখা হয়। এখন তাঁকে ভাইরাল হওয়া যৌন নির্যাতনের ভিডিও ও টিকটক হৃদয় চক্রের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’
ভুক্তভোগী তরুণীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে কি না, জানতে চাইলে এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের কাছে যে তরুণী আছে সে একজন ভুক্তভোগী। আসামি নয়। সে যদি আসামি হতো তাহলে তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা ও আদালতে হাজির করার জন্য ২৪ ঘণ্টার একটি বাধ্যবাধকতা ছিল। যেহেতু সে ভুক্তভোগী তাই আমরা তাঁর সঙ্গে কথা বলব। মামলাসংক্রান্ত জিজ্ঞাসাবাদ শেষে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে।’
এদিকে টিকটক হৃদয়ের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা মানব পাচার চক্রের ২০ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছেন ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের পুলিশ সদস্যরা। অন্যদিকে তরুণীকে পাচার ও দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত থাকায় ৭ বাংলাদেশিসহ মোট ১০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে দণ্ড দিয়েছেন ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের রাজধানী বেঙ্গালুরুর একটি বিশেষ আদালত। এর মধ্যে সাতজনকে যাবজ্জীবন, একজনকে ২০ বছর ও একজনকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
যাবজ্জীবন দণ্ড পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন সবুজ, হৃদয় বাবু, রাফসান মণ্ডল, রকিবুল ইসলাম সাগর, মোহাম্মদ বাবু, ডালিম ও আজিম। তানিয়া নামে মামলার আরেক আসামিকে দেওয়া হয়েছে ২০ বছরের কারাদণ্ড। এ ছাড়া আরেক আসামি জামালকে দেওয়া হয়েছে ৫ বছরের কারাদণ্ড এবং অপর দুই আসামি নুসরাত ও কাজলকে ৯ মাস করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে