ডিসেম্বর এগিয়ে আসছে, তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে জোনাসের মনে বাসা বাঁধছে ভয়। উঁহু। ভয় বললে ভুল হবে, মনে মনে ভাবে জোনাস। ভয় আসলে মনের অতল থেকে উঁকি দেওয়া ফণা তোলা সাপের মতো, বাজে কিছু ঘটার আশঙ্কায় মন অসুস্থ লাগা। এটাকে ঠিক ভয় বলা যায় না। জোনাস ভয় পেয়েছিল এক বছর আগে। সেবার কমিউনিটির ওপর দিয়ে পরপর দুবার উড়ে গিয়েছিল একটা অচেনা উড়োজাহাজ। দুবারই ওটাকে দেখেছিল সে। বিদ্যুৎবেগে আকাশের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত ভেদ করে বেরিয়ে গেল প্লেনটা। খানিক পরে আবার একই রকম দ্রুতবেগে উল্টোপথে উড়ে গেল ওটা। চোখ পিটপিট করে সেই যাওয়া-আসা দেখেছিল জোনাস। ভয়ের সঙ্গে সঙ্গে তার মনে বেশ আগ্রহও জেগেছিল।
কমিউনিটির এত কাছে উড়োজাহাজ চালানো নিষেধ। পাইলটরা বেশ ভালোভাবে মেনে চলেন নিয়মটা। ফলে এর আগে অত কাছে থেকে কখনো উড়ন্ত কোনো যান দেখেনি ও। মাঝেমধ্যে যখন কার্গো প্লেন আসত, ছোট ছেলেমেয়েরা সাইকেলে চড়ে নদীর পাড়ে চলে যেত। নদীর ওপারে বসে থাকত বিশাল কার্গো বিমান। ওরা সাগ্রহে মাল-সামানার ওঠানামা দেখত। এরপর কার্গো বিমান উড়ে যেত পশ্চিমে।
সায়েন্স ফিকশনের বই ‘দ্য গিভার’-এর শুরুটা ঠিক এমনই। তারপর একে একে ঘটনার বর্ণনা আছে। পুরো গল্প জানতে হলে বইটি পড়তে হবে।
মূল লেখক: লোইস লোওরি
অনুবাদ: ফাহাদ আল আব্দুল্লাহ
দাম: ৩২০ টাকা
পাওয়া যাবে: ঐশ্বর্য প্রকাশের ওয়েবসাইটে
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে