আল্লাহর বিধান নামাজ, রোজা, জাকাত, হজ ইত্যাদি মানলে যেমন তা ইবাদত হবে, তেমনি মানুষের সেবা করলে তা-ও ইবাদত হিসেবে গণ্য হবে এবং এর যথাযথ সওয়াব পাওয়া যাবে। আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন, ‘আর তোমাদের আবির্ভাব হয়েছে মানবজাতির কল্যাণের জন্য।’ (সুরা আলে ইমরান: ১১০) এ আয়াতে মানুষের কল্যাণে কাজ করাকেই তাদের শ্রেষ্ঠত্বের মানদণ্ড সাব্যস্ত করা হয়েছে।
মহানবী (সা.) এরশাদ করেন, ‘সকল সৃষ্টি আল্লাহ তাআলার পরিবারভুক্ত। তোমাদের মধ্যে তারাই আল্লাহর বেশি প্রিয়, যারা তাঁর পরিবারের প্রতি বেশি দয়াশীল।’ মুসলিম শরিফে বর্ণিত হয়েছে, ‘তোমাদের কেউ পূর্ণাঙ্গ মুমিন হতে পারবে না যতক্ষণ না সে নিজের জন্য যা ভালোবাসে তা অন্য মুসলমানের জন্য ভালোবাসে।’ বুখারি ও মুসলিমে বর্ণিত হয়েছে, ‘মুসলমান মুসলমানের ভাই। সে তার প্রতি জুলুম করবে না। তাকে সাহায্য করা ত্যাগ করবে না। যে ব্যক্তি তার ভাইয়ের প্রয়োজন পূরণ করবে, আল্লাহপাক তার প্রয়োজন পূরণ করবেন।’
মহানবী (সা.) এরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি আমার উম্মতের অভাব পূরণ করবে, এতে তার উদ্দেশ্য হলো ওই ব্যক্তিকে সন্তুষ্ট করা; তবে প্রকৃতপক্ষে সে আমাকেই সন্তুষ্ট করল। আর যে আমাকে সন্তুষ্ট করল, সে প্রকৃতপক্ষে আল্লাহকেই সন্তুষ্ট করল, আর যে আল্লাহকে সন্তুষ্ট করল, আল্লাহ তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।’ আমাদের মনে রাখতে হবে, ধনীদের সম্পদে গরিব-মিসকিন ও অসহায় মানুষদেরও হক রয়েছে। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘আর ধনী লোকদের সম্পদে অবশ্যই প্রার্থী ও বঞ্চিতদের হক রয়েছে।’
ড. মো. শাহজাহান কবীর, চেয়ারম্যান, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে