কোয়েল পাখির খামার করে স্বাবলম্বী সুরুজ্জামান হোসাইন। তিনি প্রতিদিন চার হাজার টাকার ডিম বিক্রি করতে পারেন। তাঁর খামারে দুই হাজার কোয়েল পাখি রয়েছে।
সুরুজ্জামান হোসাইনের বাড়ি কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার শিলখুড়ি ইউনিয়নের ঝালবাজার এলাকায়।
সংসারের অভাব অনটন দূর করতে সুরুজ্জামান মাত্র আঠারো বছর বয়সে আরব আমিরাতে পাড়ি জমান। দশ বছর প্রবাসে কাটিয়ে দেশে ফিরে জানতে পারেন স্বজনদের নামে বিদেশ থেকে পাঠানো টাকা বেহাত হয়ে গেছে। এরপর জীবিকার তাগিদে প্রথমে তিনি ধানের ব্যবসা শুরু করেন। ব্যবসার পরিবেশ না পেয়ে ধারদেনা করে গরুর খামার দেন। কিন্তু খামারে সুরুজ্জামানকে লোকসানে পড়তে হয়। এতে তিনি নিঃস্ব হন।
এক আত্মীয়ের পরামর্শে সুরুজ্জামান এক হাজার কোয়েল পাখির একটি খামার গড়ে তোলেন। খামারের কোয়েল ডিম দেওয়া শুরু করতেই রোগের সংক্রমণ দেখা দেয়। রোগাক্রান্ত হয়ে মারা যায় খামারের সব কোয়েল। এতে তাঁর প্রায় ১ লাখ টাকা ক্ষতি হয়।
সুরুজ্জামান হাল ছেড়ে না দিয়ে খামারে লোকসানের কিছুদিন পরে আবারও ১ হাজার ৫০০ কোয়েল পাখি নিয়ে খামার শুরু করেন। এরপর আর তাঁকে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।
সুরুজ্জামান বলেন, ‘কোয়েলের খামার দেওয়ার পর সব ঠিকই চলছিল। হঠাৎ খামারে রানীক্ষেত রোগ দেখা দেয়। এতে খামারের সব কোয়েল মারা যায়। দুঃসময়ে ভেঙে না পড়ে আবারও ১ হাজার ৫০০ কোয়েল নিয়ে পুনরায় খামার শুরু করি। খামারে বর্তমানে ২ হাজার কোয়েল আছে। দুই হাজার কোয়েলের জন্য দৈনিক ৩ হাজার টাকা খরচ হয়। প্রতিদিন ১ হাজার ৭০০ ডিম পাই, ৪ হাজার টাকার ডিম বিক্রি হয়।’
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে