কক্সবাজারের টেকনাফে দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বের জেরে মসজিদের ইমাম মো. আলীকে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে ফাঁসাতে গিয়ে র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন দুই যুবক। আজ রোববার তাঁদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে টেকনাফ থানার পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন হোয়াইক্যং ইউনিয়নের লাতুরীখোলা এলাকার ইলিয়াছের ছেলে আব্দুল মজিদ (৩৭), হাবিবুর রহমানের ছেলে জামাল হোসেন (২৭)।
র্যাব বলছে, গ্রেপ্তার অস্ত্রধারীরা লাতুরীখোলা পশ্চিমপাড়া জামে মসজিদের বর্তমান পরিচালনা কমিটির লোক। তাঁদের সঙ্গে মসজিদ কমিটির অপর কতিপয় সদস্য ও বর্তমান মসজিদের ইমাম স্থানীয় নাজির আহম্মদের ছেলে মোহাম্মদ আলীর সঙ্গে বিরোধ চলছিল। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ইমামকে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী প্রমাণ করার উদ্দেশ্যে অবৈধ অস্ত্রগুলো ইমামের বাড়িতে রাখার চেষ্টা চালায় তারা। এদিকে র্যাব আগ্নেয়াস্ত্রের খবর পেয়ে দ্রুত অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র ওয়ান শ্যুটারগান এবং একটি বড় রামদা জব্দ করা হয়। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদেও এমন তথ্য উঠে এসেছে।
এ বিষয়ে মসজিদের বর্তমান ইমাম মোহাম্মদ আলীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে র্যাব। ইমামের বরাত দিয়ে র্যাব বলছে, বর্তমান মসজিদ কমিটি এর আগেও ইমামকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে আরও বেশ কয়েকবার প্রতারক, অস্ত্রধারী, জঙ্গি হিসেবে প্রমাণ করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে। সর্বশেষ তাঁকে অস্ত্রধারী ও সন্ত্রাসী বানানোর চেষ্টা করে তারা।
এ বিষয়ে র্যাব ১৫-এর হোয়াইক্যং ক্যাম্প কোম্পানি কমান্ডার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাফিজুর রহমান সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, একজন মসজিদের ইমামকে অস্ত্র দিয়ে ফাঁসানোর অপচেষ্টা দুঃখজনক। তবে র্যাবের অনুসন্ধানে সঠিক বিষয়টি উদ্ঘাটিত হয়েছে।
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে