জো রুটকে আরও আগে থেকে অধিনায়কত্ব ছাড়ার পরামর্শ দিয়ে আসছিলেন ইংল্যান্ডের সাবেক তিন অধিনায়ক নাসের হুসাইন, মাইকেল ভন ও মাইক আথারটন। সেই ভন, নাসেররা এবার রুটের যোগ্য উত্তরসূরি মনে করছেন বেন স্টোকসকে।
ভন, নাসের দুজনেই মনে করছেন, স্টোকসের তীক্ষ্ণ ক্রিকেট বুদ্ধি ও দক্ষতা অধিনায়ক হিসেবে তাঁকে এগিয়ে রাখবে। এ প্রসঙ্গে ভন বলেছেন, ‘স্টোকস ছাড়া অন্য কাউকে আমি দেখতে পাচ্ছি না, যাকে অধিনায়কত্বের দায়িত্ব দেওয়া যায়। ও ছাড়া এমন কেউ নেই, দলে যার জায়গা পাকা।’ ভনের সঙ্গে তাল মেলান নাসেরও। তিনি বলেন, ‘বেন স্টোকসের ক্ষুরধার ক্রিকেট মস্তিষ্ক আছে। মাঠে নিজেকে উজাড় করে দিয়ে খেলে। সতীর্থদের শ্রদ্ধা আদায় করে নিতেও ওর সময় লাগবে না।’
নাসের তাই মনে করেন, টেস্টে অধিনায়কত্বের যোগ্য দাবিদার বেন স্টোকস, ‘স্টোকস ছাড়া অন্য কারও নাম আমি ভাবতেই পারছি না। ইংল্যান্ডের হয়ে এরই মধ্যে দুর্দান্ত কিছু সে উপহার দিয়েছে । ও বুদ্ধিদীপ্ত ক্রিকেটার। সেটা বিশ্বকাপ ফাইনালেও দেখিয়েছে, হেডিংলিতে দেখিয়েছে। রুটের অনুপস্থিতিতে অধিনায়ক হিসেবেও বুদ্ধির পরিচয় দিয়েছে।’’
অধিনায়কত্ব প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে ইংল্যান্ডের সাবেক দুই টেস্ট অধিনায়কের কথা টেনে আনেন নাসের। স্টোকসের মতো সেই দুজনও ছিলেন অলরাউন্ডার। কিন্তু নাসের এই দুজনের সঙ্গে মেলাতে চান না স্টোকসকে। এ নিয়ে তাঁর মূল্যায়ন, ‘অনেকেই ইয়ান বোথাম, অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফদের ব্যর্থতার কথা বলতে পারে। আমি এসব পাত্তা দিতে চাই না। বোথাম, ফ্লিনটফের অধিনায়কত্ব পেয়ে কী হয়েছিল, তা দিয়ে স্টোকসের ভবিষ্যৎ বিচার করতে যেয়ো না। ও একটা আলাদা মানুষ। অন্যদের রেকর্ড দেখে ওকে কেন বিচার করব?’
স্টোকসের ক্ষেত্রে মানসিক দিকটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হতে যাচ্ছে বলে মেনে নিচ্ছেন নাসেররা। গত বছরই মানসিক অবসাদে ভুগে ক্রিকেট থেকে বিরতি নিয়েছিলেন এই অলরাউন্ডার। এবারের আইপিএলেও খেলছেন না। অধিনায়কের দায়িত্ব সামলানো মানে আরও বেশি করে মানসিক চাপ নেওয়া, ‘স্টোকসের জন্য সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষা হতে পারে মানসিক দিকটা সামলানো। অধিনায়ক হিসেবে সফল হতে গেলে শারীরিক ও মানসিকভাবে শক্ত থাকতে হবে।’
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে