আসন্ন রমজান মাস উপলক্ষে শেরপুরে নিম্ন আয়ের ১ লাখ ১০ হাজার ৬৯টি পরিবারের মধ্যে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পণ্য দেওয়া হবে। টিসিবির নির্ধারিত ডিলারদের মাধ্যমে দুই দফায় এসব পরিবারের মধ্যে সয়াবিন তেল, চিনি, মসুর ডাল ও ছোলা বিক্রি করা হবে। আগামী ২০ মার্চ এই কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন জাতীয় সংসদের হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আতিউর রহমান আতিক।
গতকাল বুধবার দুপুরে জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. মোমিনুর রশীদ এ তথ্য জানান। ডিসি বলেন, ইতিমধ্যে পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে উপকারভোগী পরিবারের তালিকা তৈরি করেছে জেলা প্রশাসন। স্বল্প সময়ে এই বিশাল সংখ্যক পরিবারের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেওয়া বিরাট চ্যালেঞ্জ। এ জন্য সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।
শেরপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মুকতাদিরুল আহমেদের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিটের সাবেক কমান্ডার নুরুল ইসলাম হিরু, শেরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. শরিফুর রহমান, সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সাবিহা জামান শাপলা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আদিল মাহমুদ উজ্জল, সাংগঠনিক সম্পাদক মানিক দত্ত, সাংবাদিক সঞ্জীব চন্দ বিল্টু, আব্দুর রফিক মজিদ, দেবাশীষ ভট্টাচার্য প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) মিজানুর রহমান, প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহসভাপতি মলয় মোহন বল, সহসভাপতি এসএম শহিদুল ইসলামসহ জেলায় কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, জেলার সদর উপজেলায় ৪৫ হাজার ৫৮৫টি, নালিতাবাড়ীতে ২৩ হাজার ৬১২টি, নকলায় ১৪ হাজার ৩৬০টি, শ্রীবরদীতে ১৭ হাজার ৪৮১টি ও ঝিনাইগাতীতে ৯ হাজার ৩১টি পরিবারের তালিকা চূড়ান্ত করে ফ্যামিলি কার্ড দেওয়া হয়েছে। ওই ফ্যামিলি কার্ড দিয়ে টিসিবির ডিলারের ভ্রাম্যমাণ ট্রাক থেকে একজন ক্রেতা ৫৫ টাকা কেজি দরে সর্বোচ্চ ২ কেজি চিনি, ৬৫টাকা কেজি দরে ২ কেজি মসুর ডাল, ৫০ টাকা কেজি দরে ২ কেজি ছোলা ও ১১০ টাকা দরে ২ লিটার সয়াবিন তেল কিনতে পারবেন। একজন কার্ডধারী রোজার আগে এবং রোজার মধ্যে দুই দফা পণ্য পাবেন। প্রথম কিস্তির পণ্য পাবেন ২০ মার্চ থেকে। দ্বিতীয় কিস্তির পণ্য দেওয়া হবে রোজার মাঝামাঝি সময়ে। জেলায় টিসিবির নির্ধারিত ডিলার রয়েছেন ২৭ জন।
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে