নওগাঁর নিয়ামতপুরে সাথী খাতুন (১৮) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে ওই রাতেই থানায় অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে। মৃত গৃহবধূ সাথী খাতুন হাজীনগর ইউনিয়নের পরানপুর গ্রামের আমিনুল ইসলামের মেয়ে।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, এক বছর আগে উপজেলার নিয়ামতপুর ইউনিয়নের হাড়পুর গ্রামের নেয়াবুলের ছেলে রাব্বানীর (২৫) সঙ্গে সাথী খাতুনের বিয়ে হয়। গতকাল বুধবার বিকেল থেকে তাঁর ঘরের দরজা বন্ধ ছিল। সন্ধ্যায় পরিবারের লোকজন ডাকাডাকি করলে কোনো সাড়া না পেয়ে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। সাথী খাতুনের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
সাথী খাতুনের বাবা আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘জামাই পেশায় ট্রাকচালক হওয়ায় ঢাকায় চাকরি করে। আমার মেয়ে আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল। বাড়ি আসার জন্য বুধবার আমাকে ফোন দিয়ে তাড়াতাড়ি জামাইয়ের বাড়িতে ডাকে। জামাই মেয়েকে আমার বাড়িতে আসতে নিষেধ করায় মেয়ে আর আসেনি। ওই দিন বিকেলে আমার বোন ওই গ্রামের শাহিদা বেগম ফোনে জানায়, সাথী ঘরের দরজা বন্ধ করে অনেকক্ষণ ধরে কোনো সাড়া শব্দ পাওয়া যাচ্ছে না। কিছুক্ষণ পর আমার জামাই ঢাকা থেকে ফোনে বলে সাথী গলায় ফাঁস দিয়েছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে মেয়ের দেবর মোস্তাকিমের সাহায্যে দরজা খুললে মেয়ের গলায় মাফলার জড়িত খাটের ওপর মরদেহ দেখতে পাই। আমার নিরীহ মেয়েটাকে এভাবে দেখব ভাবতে পারিনি।’
নিয়ামতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ূন কবির বলেন, মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ের জন্য মরদেহটি নওগাঁ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে