আন্তর্জাতিক মহলে দেশের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করে নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে সরকার আরেক নাটক করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। এই অবস্থায় সরকার হটানোর কোনো বিকল্প দেখছেন না তিনি। তাঁর মতে, বর্তমান সরকারের পতনের মধ্য দিয়েই সব সমস্যার সমাধান সম্ভব।
আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মোশাররফ বলেন, ‘বালাদেশের জনগণের সামনে একটাই টার্গেট, একটাই মাত্র সমাধান। সেই সমাধান হচ্ছে দেশ থেকে এই স্বৈরাচারী, ফ্যাসিস্ট সরকারকে হটাতে হবে। হটানোর পরে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধিনে নির্বাচন হবে। জনগণ ভোট দিয়ে তাঁদের সরকার প্রতিষ্ঠা করবেন। জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হলে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা হবে। দেশনেত্রী খালেদা জিয়া মুক্ত হবেন।’
তিনি বলেন, ‘কোনো স্বৈরাচারী সরকার কখনো নিজের ইচ্ছায় সরে যায় না। এর জন্য হয় গণ-আন্দোলন, নয় তো এমন পরিবেশ তৈরি করতে হবে, যাতে তারা সরে যেতে বাধ্য হয়।’
নির্বাচন কমিশন গঠন প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘এই ফ্যাসিস্ট সরকারের অধীনে আর কখনো কোনো দিন গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে না। তাই বিএনপি তাদের অধীনে কোনো নির্বাচনে যাবে না। বর্তমানে যে নাটকগুলো চলছে, এগুলো অর্থহীন। এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবে না। অতীতের দুটি নির্বাচন কমিশন তার প্রমাণ রেখে গেছে।’
রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিদেশি নিষেধাজ্ঞা জারির সমালোচনায় মোশাররফ বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশ যে লজ্জার পাত্র হয়েছে, বিদেশে আমাদের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে, এর জন্য সম্পূর্ণরূপে এই সরকার দায়ী।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান বলেন, ‘বর্তমান সরকারের জনপ্রিয়তা ও জবাবদিহিতা নেই। কারণ তারা বিনা ভোটের সরকার। তারা সংসদ থেকে বের না হলে জনগণ তাদের বের করে আনবে এবং নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করবে। সময় আসছে, এই সরকারের বিরুদ্ধে স্যাংশন দেবে জনগণ।’
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে