সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ ও প্রতীকী অনশন হয়েছে চট্টগ্রামে। শুক্রবার নগরের চেরাগী মোড়ে বিক্ষোভ করেন চট্টগ্রামের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, সাধারণ নাগরিকবৃন্দ ও বিভিন্ন প্রগতিশীল ছাত্রজোট। এই সময় বিকেল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টা প্রতীকী অনশনও পালন করেন তাঁরা।
কর্মসূচিতে ‘ফ্যাসিবাদের দালাল শাবিপ্রবি উপাচার্য এই মুহূর্তে ক্যাম্পাস ছাড়’, ‘তোর হাতে কত দম দেখেছি দেখব, তোর গুলিতে কত বুলেট দেখেছি দেখব’-এরকম নানান প্রতিবাদী প্ল্যাকার্ড ছিল শিক্ষার্থীদের হাতে।
বক্তারা বলেন, ‘দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে আজ এমন একটা জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে যেখানে শিক্ষকরা তাদের নৈতিকতা বিসর্জন দিয়ে শিক্ষার্থীদেরকে নির্বিবাদে ছাত্রলীগ, পুলিশ দিয়ে বেধড়ক পেটানো, রক্তাক্ত করা, মামলা দেওয়া, শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে জলকামান, সাউন্ড গ্রেনেড এমনকি রাবার বুলেট পর্যন্ত মারার লাইসেন্স দিয়ে দেওয়া হয়েছে। জ্ঞান তৈরী কিংবা গণতান্ত্রিক চর্চা তো দূরে থাক, কে কতো স্বৈরাচারী আচরণ করতে পারে তার উপরই নির্ভর করে তাদের পদ ও পদবী। যারা শিক্ষার্থীদেরকে এভাবে রক্তাক্ত করে তাদের বিচার না করে বরং তাদেরকেই পরবর্তীতে পুরষ্কৃত করা হয়, যেটি লজ্জাজনক।’
বক্তারা অচিরেই শাবিপ্রবির উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করেন এবং ক্যাম্পাসে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ও লেখাপড়ার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানান। প্রতীকী অনশনের কর্মসূচি শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
কর্মসূচীতে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাইদুল ইসলাম, সাবেক কাউন্সিলর জান্নাতুল ফেরদাউস পপি, শাবিপ্রবির সাবেক শিক্ষার্থী অনীক ধর ও পিয়াস, শ্রমিক নেতা সত্যজিৎ বিশ্বাস, ছাত্রনেতা সাইফুর রুদ্র ও থাইল্যান্ডের মাহিডন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রোজিনা বেগম প্রমুখ।
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে