রংপুরে সক্রিয় আন্তজেলা অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়কারী চক্রের মূল হোতাসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১৩। বাহিনীর অধিনায়ক রেজা আহমেদ ফেরদৌস গতকাল বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছেন।
গ্রেপ্তার দুজন হলেন মূল হোতা ইছা মিয়া এবং তাঁর সহযোগী আব্দুল লতিফ।
র্যাব জানায়, খুলনার খালিশপুর গোয়ালখালীর দুই নার্সারি ব্যবসায়ী খন্দকার শাহাবুল ইসলাম এবং ফারুক হোসেন অনলাইনের মাধ্যমে ব্যবসা করে আসছেন। সেখান থেকে জানতে পেরে রংপুরের গঙ্গাচড়ার বাসিন্দা ইছা মিয়া এবং আব্দুল লতিফ চারা কেনার কথা বলে খালিশপুরে যান এবং রংপুরে এসে মাটি পরীক্ষা করার জন্য দুজন ব্যবসায়ীকে আমন্ত্রণ জানান।
শাহাবুল এবং ফারুক আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে ১৩ জানুয়ারি আনুমানিক রাত সাড়ে ১০টার দিকে রংপুরের মডার্ন মোড় এলাকায় আসেন। অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়কারী চক্রের সদস্যরা তাঁদের সেখান থেকে মোটরসাইকেলে করে গঙ্গাচড়া উপজেলার ফুলবাড়ি চওড়া গ্রামে জনৈক রুহুল আমিনের বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে একটি কক্ষে দুজনের চোখ ও হাত বেঁধে আটকে রেখে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। অন্যথায় হত্যার হুমকি দেওয়া হয়।
র্যাব-১৩ অধিনায়ক রেজা আহমেদ বলেন, টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় নার্সারি ব্যবসায়ীদের ওপর নির্যাতন চালানো হয়। একপর্যায়ে বিকাশের মাধ্যমে ২০ হাজার টাকা নেয় চক্রটি। অন্যদিকে বিষয়টি স্বজনদের মাধ্যমে র্যাব জানতে পেরে অভিযান শুরু করে।
তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় গত বুধবার চক্রের মূল হোতা ইছাকে গাইবান্ধা জেলার ধাপেরহাট এবং লতিফকে ঢাকার সাভারের হেমায়েতপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে ১৪ জানুয়ারি চক্রের সদস্য বাচ্চু চন্দ্র, স্বপন রায় ও খাদিজা বেগমকে গঙ্গাচড়ার ফুলবাড়ি চওড়া গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের কাছ থেকে দেশীয় পিস্তল, একটি গুলি, তিনটি দেশীয় অস্ত্র ও একটি মাইক্রোবাস জব্দ করা হয়। এ সময় অপহৃত দুই নার্সারি ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে র্যাব।
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে