‘বাহে এবার জারোত (ঠান্ডা) থাকি মুই বাঁচিম বাবা। যাক মোক এবার কম্বল খান দিছেন, আল্লাহ তাক ম্যালা দিন বাঁচি থুইবে।’ এভাবেই কম্বল পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে কথাগুলো বলছিলেন মহিষখোচা ইউনিয়নের সলেডি স্পার-২-এর বাসিন্দা ছালেহা বেওয়া (৭৫)।
ছালেহা বলেন, ‘বাবা হ্যামারগুলার এক সময় সউক ছিল, কিন্তু মড়ার তিস্তা নদীর কবলে তেরোবার ভাঙ্গনে বসতভিটা হারিয়ে জায়গা হয়েছে স্পার এলাকায়। কোনও দিন একখান কম্বল মোর কপালে জোটেনি। এইবার ক্যানবা একখান কম্বল মোক পুলিশ বেটারা দিছে। আল্লাহ ওমাক ভালো করুক।’
বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) সকালে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের দক্ষিণ বালাপাড়া ফাজিল মাদরাসা মাঠে অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার্স কল্যাণ সমিতি ঢাকার আয়োজনে ও জেলা পুলিশের সহযোগিতায় ছয় শতাধিক শীতার্তের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়।
সকাল থেকে কনকনে শীত আর হিমেল হাওয়া উপেক্ষা করে তিস্তার চরাঞ্চল থেকে কম্বল নিতে এসে শীতার্ত মানুষজন হাজির হন মাদরাসা মাঠে। কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লালমনিরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) রবিউল ইসলাম।
এ সময় অন্যদের মধ্যে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ সার্কেল) মারুফা জামাল, অবসরপ্রাপ্ত সহকারী পুলিশ সুপার ও আজীবন সদস্য (বিআরপিওডব্লিউএ) নুর ইসলাম, আদিতমারী থানার ওসি মোক্তারুল ইসলাম, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আব্দুল কাদের, ইউপি সদস্য আব্দুল মজিদ, ইউপি সদস্য মতিয়ার রহমান উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আদিতমারী থানার এসআই সুরুজ্জামান।
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে