রাজধানীর মগবাজার মোড়ে যাত্রাবাহী দুই বাসের চাপায় রাকিব (১৪) নামের এক কিশোর নিহত হয়েছে। সে বাসে বাসে বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করত। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত রাকিবকে উদ্ধারকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
রাকিবকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া পথচারী হারুন অর রশিদ জানান, মগবাজার মোড়ে গাজীপুরগামী আজমেরী পরিবহনের তিনটি বাস প্রতিযোগিতা করে চালাচ্ছিল। তখন সামনের দুটি বাসের মধ্যে চাপা পড়ে গুরুতর আহত হয় ওই কিশোর। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
রাকিবের সঙ্গে আসা লোকমান নামের আরেক কিশোর জানায়, মৃত কিশোরের নাম রাকিব। এ ছাড়া কোনো ঠিকানা তার জানা নেই। ওই কিশোর বাসে মাস্কসহ বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করত। দুর্ঘটনার পর দুটি বাসেরই চালক ও হেলপার বাস রেখে পালিয়ে গেছে।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া রাকিবের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, রাকিবের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। ঘটনাটি সংশ্লিষ্ট থানা-পুলিশকে জানানো হয়েছে।
রাকিবের বাবা নুরুল ইসলাম জানান, তাঁদের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার ধোবাউড়া উপজেলার গাছুয়াপাড়া গ্রামে। বর্তমানে মগবাজার পেয়ারাবাগে ভাড়া থাকেন। দুই ভাই এক বোনের মধ্যে রাকিব দ্বিতীয়। রকিবের বড় ভাই রিয়াজুল টিসিবির ট্রাকে কাজ করে।
তিনি আরও বলেন, ‘রাকিবের মা রেজিয়া বেগম বাসাবাড়িতে কাজ করেন। রকিব ফেরি করে মাস্ক বিক্রি করতো। সকাল ৭টার দিকে বের হতো। বাসায় ফিরত রাত ১০টার দিকে। আজকে দুপুড়ে বাসায় গিয়ে খাওয়া দাওয়া করে আবার বের হয়। সন্ধ্যার দিকে জানতে পারি রাকিব সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে। ঢাকা মেডিকেলে এসে রাকিবের মৃতদেহ দেখতে পাই।’
রমনা থানার ওসি মনিরুল ইসলাম জানান, দুর্ঘটনার পরপরই আজমেরী পরিবহন দুটি বাস জব্দ করা হয়েছে। ঘটনাস্থল পুলিশ কাজ করছে।
ওই কিশোরকে হাসপাতালে নিয়ে আসা পথচারী হারুন অর রশিদ জানান, মগবাজার মোড়ে গাজীপুর গামী আজমেরী পরিবহনেরই তিনটি বাস প্রতিযোগিতা করছিল। তখন সামনের দুটি বাসের মাঝে চাপা পড়ে গুরুতর আহত হয় ওই কিশোর। রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই মারা যায়।
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে