মহান আল্লাহর সাহায্য লাভের জন্য কোরআন-হাদিসের নির্দেশনা অনুযায়ী ফরজ আমলের পাশাপাশি নফল নামাজ পড়া, জিকির-তসবি পড়া, নফল রোজা রাখা, দান-সদকা করা, পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীর খোঁজখবর নেওয়া এবং তাঁদের হক আদায় করা, হালাল-হারাম মেনে চলা, কোরআন তিলাওয়াত করা এবং সৎকর্মশীল ব্যক্তির সঙ্গে থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
মহান আল্লাহ ছাড়া দ্বিতীয় কোনো সাহায্যকারী নেই। বিপদ-আপদে তিনিই সবাইকে সাহায্য করেন। পৃথিবীর সবকিছু মহান আল্লাহ তাআলার হুকুমের আওতাধীন। তাই বিপদ-আপদ থেকে মুক্তি পেতে আল্লাহর কাছে ধৈর্য ও নামাজের মাধ্যমে সাহায্য চাইতে হবে। পবিত্র কোরআনের সুরা বাকারার ১৫৩ আয়াতে এরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা ধৈর্য ও নামাজের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা কর; নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা ধৈর্যশীল মানুষদের সঙ্গে আছেন।’
আমরা বিপদে পড়ে যখন আল্লাহ তাআলার সাহায্য কামনা করি, তখন তিনি আমাদের ডাকে সাড়া দিয়ে এগিয়ে আসেন। তাই আল্লাহকে খুশি করতে কোরআন তিলাওয়াত ও দোয়া-দরুদ পড়তে হয়; তাঁর কাছে দোয়া, ফরিয়াদ ও কান্নাকাটি করতে হয়। দুনিয়ার কোনো কাজই আল্লাহর সাহায্য ছাড়া সফলতার মুখ দেখে না। মহানবী (সা.) এরশাদ করেন, ‘দোয়া মোমিনের হাতিয়ার, দ্বীনের স্তম্ভ এবং আসমান জমিনের আলো।’ তিরমিজি শরিফে বর্ণিত, মহানবী (সা.) এরশাদ করেন, ‘আল্লাহ তাআলার কাছে দোয়া অপেক্ষা কোনো জিনিসই অধিক ফজিলত ও সম্মানের নেই।’ হাদিসে আরও বর্ণিত হয়েছে, ‘দোয়া সকল ইবাদতের মগজ।’
তাই আমাদের দায়িত্ব হবে সব সময় মহান আল্লাহর দরবারে সাহায্য কামনা করা।
লেখক: বিভাগীয় প্রধান, ইসলামিক স্টাডিজ, ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ঢাকা
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে