রোড সেফটি ওয়ার্ল্ড সিরিজ খেলতে গত বছর মার্চে ভারত সফরে গিয়েছিল বাংলাদেশের সাবেক ক্রিকেটারদের নিয়ে গড়া একটি দল। টুর্নামেন্ট শেষের এক বছর পরও পারিশ্রমিক বুঝে না পাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রোড সেফটি ওয়ার্ল্ড সিরিজে গতবার অংশ নিয়েছে ছয় দল। এর মধ্যে বাংলাদেশ লিজেন্ডস দলে খেলেছেন খালেদ মাহমুদ সুজন, মোহাম্মদ রফিক, খালেদ মাসুদ পাইলট, নাফীস ইকবাল, আবদুর রাজ্জাক, মেহরাব হোসেন অপি, রাজিন সালেহ, জাবেদ ওমর, হান্নান সরকার, মুশফিকুর রহমান, আফতাব আহমেদরা।
গত বছরের ৫ থেকে ২১ মার্চ সিরিজে অনুষ্ঠিত এই টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়া বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়েরা মূলত স্বাক্ষর করেছিলেন ম্যাজেস্টিক লিজেন্ডস স্পোর্টস প্রাইভেট লিমিটেড ও পেশাদার ম্যানেজমেন্ট গ্রুপ লিমিটেডের (পিএমজি) সঙ্গে। দলের ব্যবস্থপনায় ছিল সেকেন্ড ইনিংস স্পোর্টস ও এন্টারটেইনমেন্ট। টুর্নামেন্ট শেষ হওয়ার প্রায় এক বছর হলেও খেলোয়াড়দের বেশির ভাগই ৫০ শতাংশ পারিশ্রমিক বুঝে পাননি। অথচ চুক্তি অনুযায়ী চুক্তির সঙ্গে সঙ্গে ১০ শতাংশ, ২০২১ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ৪০ শতাংশ, ২০২১ সালের ২১ মার্চের মধ্যে বাকি ৫০ শতাংশ পারিশ্রমিক পাওয়ার কথা ছিল। খেলোয়াড়দের অভিযোগ, নিজেদের শেষ ম্যাচের আগে ৫০ শতাংশ পারিশ্রমিক মিলেছে। বাকি টাকা এখনো বকেয়াই রয়ে গেছে। বকেয়া টাকা না পেলে আগামীতে এই টুর্নামেন্টে আর খেলবেন না তাঁরা।
গত এক বছরে একাধিকবার পিএমজি ও ম্যাজেস্টিক লিজেন্ডসকে মনে করিয়ে দেওয়ার পরও তারা বিষয়টির সমাধান করেনি। বিষয়টির সমাধানে এরই মধ্যে ১৩ খেলোয়াড় স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগপত্র তৈরি হয়েছে। বিষয়টি তারা দিতে চায় আয়োজক কর্তৃপক্ষকে। আজকের পত্রিকার কাছে আসা অভিযোগপত্রটি নিয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়া বাংলাদেশ দলের এক খেলোয়াড় বললেন, ‘এই সিরিজে আমাদের পারিশ্রমিক নিয়ে ঝামেলা হচ্ছে। আমরা আগের মৌসুমে টাকা পাইনি। আগের এজেন্ট বলছে, চেষ্টা করছে। তবে টাকার কোনো নিশ্চয়তা দিতে পারছে না তারা। এজেন্ট একটা চিঠি লিখছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) কাছে।’
দলের আরেক সদস্য আজকের পত্রিকাকে ক্ষোভ নিয়ে বললেন, ‘যে টুর্নামেন্টে কমিশনার ভারতীয় কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্কার, টুর্নামেন্টের শুভেচ্ছাদূত শচীন টেন্ডুলকার; যে টুর্নামেন্টে ছিলেন ব্রায়ান লারার মতো কিংবদন্তিরা, সেখানে এমন ঘটনা ভারতের জন্য দুঃখজনক ও লজ্জাজনক। এমন না যে, এই টাকা না পেলে আমরা মরে যাব। তবে এটা অত্যন্ত দুঃখজনক।’
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে