লকডাউন, মুখে মাস্ক এবং নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে চলা—গত শীতে ইউরোপের স্বাভাবিক চিত্র ছিল এটি। করোনার সংক্রমণ বাড়লেও প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী সাড়ে ৬ লাখ মানুষের মৃত্যুর জন্য দায়ী ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্তের হার বেশ কমে গিয়েছিল। কিন্তু চলতি শীতে আগের চেয়ে কয়েক গুণ শক্তি নিয়ে ইউরোপের দেশগুলোতে হানা দিয়েছে এই ভাইরাস। করোনার সাম্প্রতিক চিত্রের সঙ্গে ইনফ্লুয়েঞ্জার সংক্রমণ মিলে ‘টুইন্ডেমিকের’ মুখোমুখি ইউরোপ।
গতবারের চেয়ে এবারের সবচেয়ে বড় পার্থক্য স্বাস্থ্যবিধি। টিকাদান কার্যক্রমে বেশি জোর দেওয়ায় এবার স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই। এতে করে গত ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকেই ইনফ্লুয়েঞ্জা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি বাড়ছেই। ইউরোপের রোগ প্রতিরোধ এবং নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র বলছে, ডিসেম্বরের শেষ দিকে আইসিইউতে ছিলেন অর্ধশতাধিক। এ সংখ্যা কয়েক দিনের মধ্যেই ৪০০ ছাড়াতে পারে। সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা ফ্রান্সে। এ বছর আরেকটি ব্যাপার লক্ষ করেছেন বিজ্ঞানীরা, আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে বেশির ভাগ ‘এইচ৩’। এতে আক্রান্ত হলে বয়স্কদের মধ্যে মৃত্যুর ঝুঁকি বেশি।
এদিকে, চীনের নতুন বছর সামনে রেখ সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। আগামী ১ ফেব্রুয়ারির এ উৎসব ঘিরে ইতিমধ্যেই সতর্ক করে দিচ্ছে প্রতিটি প্রদেশের প্রশাসন। ভ্রমণে জারি করা হয়েছে নতুন বিধিনিষেধ। এরই মধ্যে গত রোববার বেইজিংয়ের একটি অফিসের ভবনে দেওয়া হয়েছে লকডাউন। আগের দিন একজনের দেহে করোনা শনাক্তের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
‘এখনো চূড়ায় যাওয়া বাকি’
সারা বিশ্বে সংক্রমণ কিছুটা কমেছে। গতকাল পরিসংখ্যানভিত্তিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য বলছে, ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছে ২০ লাখের কম, ১৯ লাখ ৪২ হাজার। তবে সংক্রমণ কমতে থাকলেও এখনো চূড়ায় পৌঁছেনি বলে জানিয়েছেন মার্কিন গবেষক বিবেক মূর্তি। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে সামনের দিনগুলোতে চূড়ায় পৌঁছাবে করোনা। এরপর ধীরে ধীরে শেষের দিকে যাবে মহামারি।
ভারতে ওমিক্রনের টিকা
করোনার অতি সংক্রামক ধরন ওমিক্রনের বিরুদ্ধে টিকা বানাচ্ছে ভারতের বায়োফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানি জেনোভা। আগামী এক কিংবা দুই মাসের মধ্যে এটি প্রস্তুত হয়ে যাবে।
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে