ইসলাম শান্তি ও মানবতার ধর্ম। অবৈধ অস্ত্র ও বিস্ফোরকদ্রব্য ব্যবহার করে যেকোনো উদ্দেশ্যে সমাজে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি, জানমালের ক্ষতিসাধন, শান্তি ও নিরাপত্তা ক্ষুণ্ন, দোকানপাট ও স্থাপত্য ধ্বংস এবং সর্বস্তরের মানুষকে এর মাধ্যমে আতঙ্কিত করে দেশের আইনশৃঙ্খলা, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব হুমকির সম্মুখীন করা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের শামিল। ইসলামের দৃষ্টিতে এমন কাজ মারাত্মক অপরাধ।
যাঁরা এমনটি করেন, তাঁরা দুনিয়া-আখিরাতে কঠিন শাস্তির মুখোমুখি হবেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো মুমিনকে ইচ্ছাকৃতভাবে হত্যা করবে, তার পরিণাম হবে জাহান্নাম, যেখানে সে চিরকাল থাকবে।’ (সুরা নিসা: ৯৩) যাঁরা এ ধরনের অস্ত্রবাজি করেন, তাঁরা নিজেরাও ধ্বংসের দিকে ধাবিত হন। তাঁদের লক্ষ্য করে আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা নিজেদের জীবনকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিয়ো না। আর মানুষের সঙ্গে সদাচরণ কর।’ (সুরা বাকারা: ১৯৫)
বিদায় হজের ভাষণে মহানবী (সা.) সাহাবিদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘আজ এই পবিত্র দিনে, পবিত্র মাসে এবং এই পবিত্র শহরে তোমাদের জন্য যেমন যুদ্ধ-বিগ্রহ ও অপকর্ম করা অবৈধ, তেমনিভাবে তোমাদের জানমাল বিনষ্ট করাও অবৈধ।...’ (বুখারি ও মুসলিম) মহানবী (সা.) আরও বলেছেন, ‘কোনো মুসলমানের জন্য অপর মুসলমানকে আতঙ্কিত করা অবৈধ।’ (আবু দাউদ) শুধু মুসলমান নয়, ইসলামে অমুসলিমকেও হত্যা করা হারাম। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘অন্যায়ভাবে এমন কাউকে হত্যা করো না, যাকে হত্যা করা আল্লাহ হারাম করেছেন।’ (সুরা ইসরা: ৩৩)
এ ধরনের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে নীতি-নৈতিকতার চর্চা বাড়াতে হবে, আইনের শাসন নিশ্চিত করতে হবে এবং নৈতিকতার উৎস ধর্মীয় শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে।
লেখক: সভাপতি, বাংলাদেশ ইসলামি লেখক ফোরাম
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে