আমদানির পরিমাণ কমলেও দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে পাইকারিতে পেঁয়াজের দাম কমেছে। কেজিপ্রতি দাম কমার হার ৩-৪ টাকা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আমদানি অব্যাহত থাকায় মাত্র দুই দিনের ব্যবধানে আবারও দাম কমেছে।
বন্দরে নতুন ইন্দোর জাতের ছোট আকারের প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৩-২৪ টাকায়, যা দুই দিন আগে বিক্রি হয়েছিল ২৭ টাকায়। আর নাসিক জাতের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৬-৩৭ টাকায়, যা এখনো একই দামে বিক্রি হচ্ছে।
পেঁয়াজের দাম কমায় খুশি বন্দরে পেঁয়াজ কিনতে আসা পাইকারসহ নিম্ন আয়ের মানুষ। হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী রেজাউল ইসলাম বলেন, পাবনা, মেহেরপুরসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নতুন পেঁয়াজ ওঠার কারণে বাজারে দেশীয় পেঁয়াজের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। আবার সরবরাহ বাড়ার কারণে আগের তুলনায় দাম কম রয়েছে, যার কারণে দেশের বিভিন্ন মোকামে পেঁয়াজের চাহিদা আগের তুলনায় কিছুটা কম রয়েছে।
তিনি জানান, হিলিসহ দেশের বিভিন্ন স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। সেই সঙ্গে মিয়ানমার থেকেও পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। কিন্তু সেই তুলনায় দেশের বাজারে পেঁয়াজের চাহিদা তেমন না থাকার কারণে পেঁয়াজের দাম কমছে।
হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, বন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। তবে আমদানির পরিমাণ মাঝেমধ্যেই ওঠানামা করছে। কখনো বেশি হচ্ছে আবার কখনো কম হচ্ছে। চলতি সপ্তাহের প্রথম দিন থেকে যেখানে ১৫-২০ ট্রাক করে পেঁয়াজ আমদানি হতো, এখন তা কমে এসেছে। বুধবার পাঁচটি ট্রাকে ১৪৭ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছিল, সেখানে বৃহস্পতিবার দুটি ট্রাকে ৬০ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। পেঁয়াজ যেহেতু কাঁচামাল, তাই এটি দ্রুত যেন আমদানিকারকেরা খালাস করে নিতে পারেন, সে জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষ সব ধরনের ব্যবস্থা রেখেছে।
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে