ঘড়ির কাঁটায় দুপুর পৌনে ১টা। কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে গাবতলীর আমিনবাজার ব্রিজে কঠোর অবস্থানে পুলিশ, প্রশাসন। এরই মধ্যে মুখে মাস্ক না পরলেও হাতে কিছু মাস্ক নিয়ে হাজির আনুমানিক আট বছরের এই শিশু। জানা গেল, ক্ষুধার তাড়নায় বাধ্য হয়ে মাস্ক বিক্রির কাজে নেমেছে সে।
নাঈমের এমন উপস্থিতি সবার দৃষ্টি কাড়ে। এগিয়ে আসেন ট্রাফিক সার্জেন্ট নাজমুল। জানতে পারেন, নাঈম থাকে মিরপুর মাজার রোড বস্তিতে। বাবা নেই; মা শ্রমজীবী। লকডাউনে মা কাজ হারিয়েছেন বলে পরিবারে শুরু হয়েছে ক্ষুধার কষ্ট। তবে মায়ের কষ্ট বুঝে উপায় না পেয়ে পরিবারের খাবার জোগাতে মাস্ক বিক্রি করতে নেমেছে নাঈম। তবে ভবিষ্যতে পড়াশোনা করাই তার ইচ্ছা।
অবস্থা শুনে সার্জেন্ট নাজমুল দুটি মাস্ক কিনে একটি নিজে এবং আরেকটি নাঈমের মুখে পরিয়ে দেন। খাবার কেনার জন্য তিনি কিছু টাকা দিতে চাইলে শিশুটি তা নিতে রাজি না হয়ে বলে, ‘মাস্ক বিক্রি করে সেই টাকা দিয়ে খাব।' পরে শিশুটিকে বুঝিয়ে আদর করে দোকানে নিয়ে চা-রুটি খাওয়ান। এবার নাঈমের কাছ থেকে আরও কিছু মাস্ক কিনে তাকেই উপহার দেন সার্জেন্ট।
এত কষ্টের টাকাও পুরোটা ঘরে নিতে পারে না নাঈম। অভিযোগ, বড় টোকাইরা তার টাকা কেড়ে নেয়।
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে