ওমিক্রনে আক্রান্তদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ঝুঁকি অনেক কম। আক্রান্তদের আগের ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় ৫০ শতাংশ থেকে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তির ঝুঁকি কম বলে ইউকে হেলথ সিকিউরিটি এজেন্সির বিশ্লেষণে বলা হয়েছে।
ইউকে হেলথ সিকিউরিটি এজেন্সি বলেছে, তাদের প্রাথমিক ফলাফলগুলো ‘উত্সাহজনক’ তবে এখনো ভ্যারিয়েন্টটি অনেক মানুষকে হাসপাতালে নিতে পারে। ওমিক্রনে আক্রান্ত হওয়ার ১০ সপ্তাহের মধ্যে বুস্টার ডোজের ক্ষমতাও কমে যেতে পারে বলে এজেন্সি জানিয়েছে।
প্রতিবেদনটি দক্ষিণ আফ্রিকা, ডেনমার্ক, ইংল্যান্ড এবং স্কটল্যান্ডের তথ্যের ওপর করা। যা ওমিক্রনের তীব্রতা হ্রাসের দিকে নির্দেশ করে।
সর্বশেষ বিশ্লেষণটি গত নভেম্বর শুরু থেকে যুক্তরাজ্যের ওমিক্রন ও ডেল্টার সকল দিকের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা। যার মধ্যে এই ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত ১৩২ জন হাসপাতালে ভর্তি। ওমিক্রনে আক্রান্ত হওয়ার ২৮ দিনের মধ্যে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে বিশ্লেষণ বলা হয়েছে, ওমিক্রনে আক্রান্তদের প্রায় সবার বয়স ৪০ এর নিচে। তবে বৃদ্ধেরা এই ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হলে কি হবে তা নিয়েই অনিশ্চয়তা রয়েছে।
ইউকে হেলথ সিকিউরিটি এজেন্সি নির্বাহী ডা. জেনি হ্যারিস বলেছেন, আমাদের সাম্প্রতিক বিশ্লেষণ একটি উত্সাহজনক। প্রাথমিক ফলাফলে দেখা গেছে যে অন্য ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ঝুঁকি অনেক কম।
তিনি বলেছেন, বর্তমানে যুক্তরাজ্যে ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। হাসপাতালে ভর্তি প্রয়োজন তুলনামূলক কম হওয়ায় অনেকে গুরুতর অসুস্থ হতে পারেন।
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে