নবীগঞ্জ উপজেলার ইনতাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বজলুর রশিদ ও তাঁর দুই সহযোগীর বিরুদ্ধে এক তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় নির্যাতিতা তরুণীর মা আজ সোমবার হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩–এ অভিযোগ দায়ের করেন। বিচারক মোহাম্মদ হালিম উল্লাহ চৌধুরী দীর্ঘ শুনানি শেষে অভিযোগটি আমলে নিয়ে তিন দিনের মধ্যে এফআইআর হিসেবে মামলা রুজু করার জন্য নবীগঞ্জ থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
অভিযোগে চেয়ারম্যান বজলুর রশীদ ছাড়াও উপজেলার পিরিজপুর গ্রামের রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে অজুদ মিয়া ও আব্দুল জলিলের ছেলে রিপন মিয়া নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, নবীগঞ্জ উপজেলার ওমরপুর গ্রামের এক নারী দাম্পত্য কলহের জেরে ১৯ বছরের মেয়েকে নিয়ে উপজেলার ইনাতগঞ্জ বাজারে ভাড়া বাসায় থাকেন। বিষয়টি নজরে আসে ইনাতগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বজলুর রশিদের। গত ২৫ জুন বিকেলে ওই নারী নবীগঞ্জে ডাক্তার দেখাতে রওনা হলে রাস্তায় চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা হয়। তাঁর বাসায় ফিরতে দেরি হওয়ায় রাতে বাসায় একাই ছিলেন তাঁর মেয়ে। এই সুযোগে চেয়ারম্যান বজলুর রশিদ ও তাঁর দুই সহযোগী ঘরে ঢুকে অস্ত্রের মুখে তাঁকে ধর্ষণ করেন। মা বাসায় ফিরলে ঘটনা খুলে বলেন তরুণী।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, মেয়েকে নিয়ে মা হাসপাতালে যেতে চাইলে ধর্ষণকারীরা তাঁকে বাঁধা দেন, হত্যার হুমকি দেন। ঘটনার তিনদিন পর কৌশলে লুকিয়ে মেয়েকে গত ২৮ জুন হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করান তিনি।
এদিকে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য চেয়ারম্যান বজলুর রহমান বিভিন্নভাবে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। আজ ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুযুনালে মামলা দায়ের করেন।
হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচরাক এডভোকেট আবুল হাশেম মোল্লা মাসুম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নবীগঞ্জ থানার ওসি ডালিম আহমেদ জানান, মামলা দায়েরের বিষয়টি তিনি শুনেছেন। এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে